কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে নবাবগঞ্জ ক্লাব মিলনায়তনে ঘরোয়া পরিবেশে জনসমাবেশ করেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপি। উচ্চ আদালতের নির্দেশনাকে অধীনস্ত আদালত এবং সরকারি অবজ্ঞা, গায়েবী মামলার নির্বিচার গ্রেফতার, মিথ্যে মামলা ও পুলিশী হয়রানি, দ্রব্য মূল্যের উর্দ্ধগতি, বিদুৎতের লোড সেডিং, আওয়ামী সরকারের সর্বগ্রাসী দূর্নীতির প্রতিবাদে এবং ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষে শনিবার বিকেলে এই জনসমাবেশ হয়।
সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু। তিনি বলেন, বর্তমানে আওয়ামীলীগ সরকারের চেয়ার টলমলে। ভাল করে একটি ঝাকি দিলেই এ সরকারের পতন হবে। কয়েকদিন আগে প্রধানমন্ত্রী পৃথিবীর সব দেশে ঘুরে এলেন। তিনি দেখেছেন শুধু বাংলাদেশের নয়। পৃথিবীর কোনো দেশের মানুষ তাকে চাইনা। এ দেশে যে মানবাধিকার লঙ্ঘন, হত্যা, খুনসহ বিভিন্ন ধরণের অপরাধ হয়েছে। তা বিশ্বে তুলে ধরেছেন এক মাত্র ব্যক্তি তিনি তারেক রহমান।
আর বেশিদিন সময় লাগবে না। সময় এসে গেছে। টলমল গদি, আমাদের হতে হবে শক্তিশালী। শেখ হাসিনা আপনাকে বলতে চাই, হত্যা, গুম, খুন, অত্যাচার, জুলুম অনেক করেছেন। যা ইচ্ছে তাই করেছেন, মানুষের হাহাকার-কান্না আপনি শুনতে পান না। আমরা শুনতে পাই। আপনার এই অপরাধের বিচার হবে গণআদালতে। এদেশের মানুষ আপনার বিচার করবে। এমনকি আ’লীগ নেতাদের যদি কারো মৃতুও হয়, তাহলেও আপনাদের কঙ্কালের ফাঁসি দেয়া হবে, ইনশাআল্লাহ। এদেশের মানুষের আপনাদের ছাড়বে না।
লালু বলেন, জুলুম করে আমাদের মাথার উপর বসে আছে আওয়ামীলীগ সরকার। আমাদেরকে হারিয়ে যাওয়া গনতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। দেশে চলমান হত্যা, গুম, খুন বন্ধ করতে হবে। বাজারে গিয়ে মানুষ কাঁদে, অনেকেই খেতে পারছে না। মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে পারছে না। এসব জুলুম নির্যাতন রোধ করার এখনি মোক্ষম সময়।
প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সকলকে প্রস্তত থাকতে হবে।শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করে তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ভোট দিতে হবে। কথায় কথায় ওবায়দুল কাদের বলেন, তত্বাবধায়ক সরকার নাকি কোনদিনও আসবে না। কেন আসবে না? আপনারা ১৭৩ দিন হরতাল দিয়েছেন এই তত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে। শ্রীলঙ্কার রাজনীতিবিদদের মতো আপনাদের অবস্থা করবে দেশের মানুষ। এসময় উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট সৈয়দ শাহিন শওকত, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক গোলাম জাকারিয়া ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল ইসলামসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।