1. tohidulstar@gmail.com : sobuj ali : sobuj ali
  2. ronju@chapaidarpon.com : Md Ronju : Md Ronju
আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে সাগুতেও! তৈরী হচ্ছে নানা মজাদার খাবার - দৈনিক চাঁপাই দর্পণ
রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৩৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
নিহত ও আহত ছাত্র-জনতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা- আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল গঠন করে শেখ হাসিনাসহ গুম-খুনের সাথে জড়িতদের বিচার করা হবে-হারুনুর রশীদ সীমান্তে হত্যা নিষ্ঠুরতা ॥ এটি বন্ধ হওয়া প্রয়োজন–প্রধান উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে অর্থ পাঠালো চাঁপাইনবাবগঞ্জ মার্কেট সমন্বয় কমিটি নাটোরে সাবেক ডিসি, এসপি ও এমপিসহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন নওগাঁয় প্রকৃতি ও জীবন ক্লাবের গাছের চারা রোপন বঙ্গবন্ধু সেতুতে ট্রাকের পেছনে বাসের ধাক্কায় নিহত ৩ ॥ আগত ১০ রামেবি’র নার্সিং শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ॥ ১২ কর্মকর্তা-কর্মচারী অবাঞ্ছিত পোরশায় বিজিবি’র মতবিনিময় সভা নিয়ামতপুরে পারিবারিক জেরে বসতবাড়ী দখলের অভিযোগ ফেনীতে বন্যা পরবর্তী ডায়রিয়াসহ নানা রোগের প্রাদুর্ভাব

আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে সাগুতেও! তৈরী হচ্ছে নানা মজাদার খাবার

মুঃ শফিকুল ইসলাম (নিজস্ব প্রতিনিধি)
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ২১ মে, ২০২৩
  • ১৫৬ বার পঠিত

আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে সাগুতেও! তৈরী হচ্ছে নানা মজাদার খাবার

সাগু বা সাবুদানা আমাদের খুব পরিচিত একটা খাবার। ছোটবেলা অসুখ হলেই সাগু খেতে হত। জ্বর হয়েছে আর সাগু খাননি এমন লোক খুব কমই আছে। প্রাচীন কালে সাগু রোগী বা বা”চাদের খাবারের তালিকায় থাকলেও বর্তমানে সাগুতেও আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে । আজকাল সাগু দিয়ে নানা ধরনের মজাদার ফালুদা, পায়েস, সুজি-সাগুর হালুয়া ছড়াও আলু ও অন্যান্য সব্জির সংগে পানিতে ভেজানো সাগু দিয়ে চপ, বড়া তৈরি করা হয়। এটি শর্করার বেশ ভাল একটি উৎস। সাধারনত দেখতে ছোট ছোট সাদা দানাদার আকারের মুক্ত দানার মত। সাগুদানাকে ইংরেজিতে “সাগু পার্ল” বলে; কিন্তু কোথা থেকে আসে এই সাগু বা সাবুদানা। এটি কি কোন গাছে ধরে? নাকি একেবারেই হাতে বা মেশিনে তৈরি করা হয়? আমরা খুব কমজনই এসকল প্রশ্নের উত্তর জানি। আসুন আমরা জানার চেষ্টা করে দেখি কোথা থেকে আসে এই সাগু। এক প্রকার পাম গাছ থেকে এই সাগু উৎপাদন হয়। যার বৈজ্ঞানিক নাম Metroxylon sagu. এই নামের Metroxylon শব্দটি গ্রিক Metro থেকে এসেছে। এটি Arecaceae ফ্যামিলির একটি উদ্ভিদ। লম্বায় ৭ থেকে ১৭ মিটার পর্যন্ত হয়। কখনো কখনো ২৫ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। প্রতিটি গাছে ২০-২৫ টির মত পাতা হয়। এটি একটি ওষধি গাছ, মানে এতে একবারই ফুল ফোটে এবং ফলে ধরার পর গাছ মারা যায়। অনেকে ধারণা করেন সাগু আসলে গাছের ফল। যদি গাছের ফলই না হয়, তা হলে এটা কিভাবে পাওয়া যায়? এখন কথা হচ্ছে, গাছের কোথায় সাগু ধরে? এটা অনুমান করা সহজ; কিন্তু সঠিক উৎসটা কল্পনায়ও আসার কথা নয়। আসলে সাগু পাওয়া যায় এই পাম গাছের কান্ডের ভেতরে। তবে ওরকম গোল দানাদার আকারে নয়, ওরকম গোল গোল পরে বানানো হয়। ৭ থেকে ১৫ বছর বয়সে যখন সাগু গাছে ফুল ধরার সময় হয়, তখন গাছ কেটে এর কান্ডকে চিরে ফেলা হয়। এরপর এর কান্ডের ভেতরের নরম স্থানটি ধারালো কিছু দিয়ে কুপিয়ে আলাদা করা হয়। এরপর একে পানিতে ভিজিয়ে রাখলে এর ভেতরের স্টার্চ পানির নিচে জমা হয়। পানি দূর করে এই সাদা রংয়ের স্টার্চকে আলাদা করে শুকানো হয়। শুকিয়ে নিলে, এটাকে বলে সাগুর ময়দা। একে এভাবেই খাওয়া যায়। তবে এই ময়দা আকারে সাগু সাধারনত আমরা খাই না। আমরা যে সাগুদানা খাই, তা মেশিনে সাগুর ময়দা থেকে ছোট ছোট দানা আকারে তৈরি করা হয়। একটি পূর্ণ গাছ থেকে ১৪০ থেকে ৩৫০ কেজি পর্যন্ত সাগু পাওয়া যেতে পারে। সাগু প্রধানত উৎপাদিত হয় ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ফিজি, পাপুয়া নিউগিনি, সিংগাপুর, থাইল্যান্ড, সলোমন দ্বীপপুঞ্জ ও ভারতে। তবে চীনারা এখন সাগু ময়দা আমদানী করে নানা বর্ণের ও নানা আকারের সাগু তৈরী করে বাজারে বিক্রি করে। এটি সহজেই হজম হয়, শরীরে দ্রুত শক্তি যোগায়, পেশী সংকোচন এ সহায়তা করে, পানির ভারসাম্য রক্ষা করে। সম্পৃক্ত চর্বি খুবই কম থাকায়, হার্টের রোগীদের জন্য ভালো একটি খাবার।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
Copyright All rights reserved © 2024 Chapaidarpon.com
Theme Customized BY Sobuj Ali
error: Content is protected !!