চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসকারী সুবিধাভোগীদের কাছে ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের নামে ঘুষ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার (১২ জুলাই) সকালে শিবগঞ্জ উপজেলার কানসাট আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসকারীদের মোবারকপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে ডেকে ভূমি উন্নয়ন কর নির্ধারিত ৪২ টাকা স্থলে ১৫০টাকা আদায় করেন ওই ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম। তবে বিষয়টি গণমাধ্যম কর্মীরা জানার পর অতিরিক্ত টাকা আদায় তিনি বন্ধ করে দেন। সুত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রীর উপহারের কানসাট আশ্রয়ণ প্রকল্পে ৮৮টি পরিবার বসবাস করছেন। সেখানে বসবাসকারীদের বুধবার সকালে মোবাইল ফোনে কল করে ডেকে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় আরম্ভ করেন মোবারকপুর ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম। তবে তিনি ভূমি উন্নয়ন কর নির্ধারিত ৪২ টাকার স্থলে ১৫০ টাকা করে আদায় করতে আরম্ভ করলে সচেতন সুবিধাভোগীরা বাধা দেয়। চেঁচামেচির একপর্যায়ে গণমাধ্যম কর্মীদের উপস্থিতি টের পেয়ে তিনি নির্ধারিত ৪২টাকা আদায় আরম্ভ করেন। পিরে এ নিয়ে তার দৃষ্টি আকর্ষন করা হলে তিনি যাদের কাছে অতিরিক্ত কর আদায় করেছেন তাদের এক’শ টাকা করে ফিরিয়ে দেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভুক্তভোগী অভিযোগ করে বলেন, যারা প্রধানমন্ত্রীর উপহারের বাড়ি পেয়েছেন তারা বাড়ির কাগজপত্র, আইডি কার্ড, মোবাইলফোন ও ১৫০ টাকা করে সাথে নিয়ে আসবেন। আমরা অফিসারের কথা মতো এসব নিয়ে আসি। কিন্তু ১৫০ টাকা দেয়ার পর ওই অফিসার বলেন, এখন আপনাদের নাম কম্পিউটারের দেয়া হলো চলে যান। আমরা গিয়ে আপনাদের কাজগুলো দিয়ে আসবো। এ সময় বিষয়টি তারা জানতে পারেন তাদের কাছে ৪২ টাকার স্থলে ১’শ ৫০ টাকা করে নেয়া হচ্ছে। অপর এক ভুক্তোভোগী ক্ষোভের সাথে জানান, প্রধানমন্ত্রী দয়া করে তাদের বাড়ি দিলেও প্রধানমন্ত্রীর সুনাম ক্ষুন্ন করছে এসব সরকারী চাকুরিজীবি। এদের শাস্তি দেয়া দরকার।
এব্যাপারে মোবারকপুর ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম বলেন, ভূমি উন্নয়ন কর হিসাবে ৪২ টাকা কর নিচ্ছি এবং কিছু কাগজপত্র আনতে যে খরচ হয়েছে, সে জন্য তাদের কাছে ১০০ টাকা করে চেয়ে নিচ্ছি। আপনারা যদি চান তাহলে তাদের টাকা ফেরত দিবো। এরপর তিনি যাদের কাছে অতিরিক্ত টাকা নেয়া হয়েছিল, তাদের টাকা ফেরত দেন।
এব্যাপারে শিবগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ জুবায়ের হোসেন বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসকারীদের কাছে কোন প্রকার টাকা কেউ নিতে পারবে না। যদি এমনটি কেউ করে থাকে তা জেনে তদন্তে অভিযোগ প্রমানিত হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রধানমন্ত্রীর উপহারের বাড়ি প্রাপ্তদের কাছে ভূমি উন্নয়ন কর বাবদ নির্ধারিত ৪২ টাকা নেয়া যাবে।