ফেনীতে পদযাত্রা কর্মসূচিকে ঘিরে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার আতঙ্কে ঘর-বাড়ি ছেড়ে আত্মগোপন করেছেন দলটির কয়েকশ নেতাকর্মী। শুক্রবার বিকেলে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল বলেন, পুলিশ পূর্ব পরিকল্পিতভাবে মামলা করেছে। সারা জেলার বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের আসামি করা হয়েছে। যাতে গ্রেপ্তারের ভয়ে কেউ আন্দোলন-সংগ্রামে অংশগ্রহণ না করতে পারে। এত বেশি সংখ্যক অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে, যাতে কোনো সাধারণ সমর্থকও কমর্সূচিতে মাঠে থাকতে না পারেন। এ বিষয়ে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ বাহার বলেন, হামলা করে, মামলা দিয়ে বিএনপিকে মাঠছাড়া করা যাবে না। সরকারকে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। গ্রেপ্তার এড়াতে নেতা-কর্মীরা ঘর ছাড়লেও এলাকা ছাড়েননি। সরকারের পদত্যাগসহ নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে শুক্রবার দুপুরে ফেনীর বিভিন্ন মসজিদে লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার শহরের ইসলামপুর রোডে লক্ষ্মীপুরে পুলিশের গুলিতে নিহত ব্যক্তির স্মরণে সভা ও প্রতিবাদ মিছিল হয়েছে। মঙ্গলবার বিএনপির পদযাত্রা ও আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশকে কেন্দ্র করে ফেনী শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। ওই দিন বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষে পুলিশ-সাংবাদিকসহ অন্তত শতাধিক আহত হন।
পরে রাতেই ফেনী শহর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই হায়াত উল্ল্যাহ পুলিশের কাজে বাধা ও বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দুটি মামলা করেন। দুই মামলাই জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ বাহার, যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল খালেক, এয়াকুব নবী, সদস্যসচিব আলাল উদ্দিনসহ ৮৮ জনের নাম করা হয়েছে। এ ছাড়া আরও দুই হাজার জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। ফেনী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. নিজাম উদ্দিন বলেন, পুলিশের কাজে বাধা, ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় যারা জড়িত ছিলেন, সিসিটিভির ভিডিও দেখে তাদের আসামি করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা আসামি থেকে জড়িতদের শনাক্ত করার কাজ চলছে। তিনি বলেন, এ ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি এখনও প্রক্রিয়াধীন। বিনা অপরাধে কাউকে হয়রানি করা হবে না বলেও তিনি জানান।