জাতীয় শোক দিবসসহ আগষ্ট মাসে তিনটি দিবস পালনে প্রস্তুতি সভা হয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জে। আগামী ৫ আগস্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী, ৮ আগস্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী এবং ১৫ আগস্ট স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালনে এই প্রস্তুতিমূলক সভা হয়। সোমবার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খাঁন। সভায় গত বছরের কর্মসূচি পড়ে শোনান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আহমেদ মাহবুব-উল-ইসলাম। আলোচনায় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আবুল কালাম সাহিদ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. শংকর কুমার কুন্ডু, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ আনিছুর রহমান, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রওশন আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আব্দুস সামাদসহ বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী দপ্তরের প্রধানগণ। আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশের কঠোর নজরদারি রয়েছে বলে সভায় জানান পুলিশ সুপার মো. ছাইদুল হাসান পিপিএম সেবা। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিয়ে কথা বলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক দেবেন্দ্র নাথ উরাঁও। সভায় জাতীয় শোক দিবসসহ দিবস তিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। জেলা প্রশাসক বলেনÑনতুন প্রজন্মের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ছড়িয়ে দিতে হবে, তাদেরকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
সভায় জেলা প্রশাসক দিবস তিনটি যথাযথ মর্যাদায় মাসব্যাপী পালনের জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান। এসময় ‘কারাগারের রোজনামচা’, ‘বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী’সহ বঙ্গবন্ধু সম্পর্কিত অন্যান্য বই ছাত্রছাত্রীদেরকে পড়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করতে শিক্ষা কর্মকর্তাদের নির্দেশনা প্রদান করেন। এছাড়াও মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে লেখা কবিতাগুলো শিশুদের দিয়ে আবৃত্তি করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন জেলা প্রশাসক। ডেঙ্গু প্রসঙ্গেও কথা বলেন জেলা প্রশাসক। ডেঙ্গু প্রতিরোধে আমাদের সফল হতে হবে। এজন্য পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিকল্প নেই। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার যে অভিযান শুরু হয়েছে, তা আগামীতে অব্যাহত রাখতে হবে। কোনো বিষয়ে গুজবে কান না দিতে জেলাবাসীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।