চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ আমদানি ও রপ্তানি কারক গ্রুপের কনফারেন্স রুমে পাথর ব্যবসায়ীদের সংকট নিরেশনে লক্ষ্যে সাধারণ ব্যবসায়ীদের সাথে সোনা মসজিদ স্থলবন্দর আমদানি ও রপ্তানি কারো গ্রুপের জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়। সম্প্রতি সময়ে পাকুড় কালো পাথরে ১৫ ডলারে/মেঃ টন এ্যাসেসমেন্ট চালু করার জন্য যে মৌখিক নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে, তা বর্তমানে বিশেষ করে সোনামসজিদ স্থল বন্দর ব্যবহারকারী পাথর আমদানীকারকগন এক প্রকার হতাশার মধ্যে রয়েছে। এ প্রেক্ষিতে গত ২ এবং ৩ আগস্ট দুই দিন সকল পাথর ব্যবসায়িগনের মধ্যে সোনামসজিদ আমদানী ও রপ্তানীকারক গ্রুপের প্রধান কার্যালয়ে জরুরী আলোচনা ও মতবিনিময় সভা হয়েছিল। সভায় আলোচনা স্বাপেক্ষে পাথর আমদানীকারকগণ চরম ক্ষতির আশঙ্কায় তাঁদের নিজ নিজ পাথর আমদানী থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। কারন হিসাবে তারা উল্লেখ করেন ১৫ ডলারে এ্যাসেসমেন্ট হলে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে এবং বিশেষ করে ভারতীয় রপ্তানীকারকবৃন্দ ১৫ ডলারে/মেঃ টন এল.সি খোলার জন্য এক পর্যায়ে বাধ্য করবে। সোনামসজিদ স্থলবন্দরে অন্যান্য বন্দরের তুলনায় ভৌগলিক কারনে কেয়ারিং খরচ কম। কেননা পাকুড় পাথরের উৎপাদন স্থল হতে সোনামসজিদ স্থল বন্দরের দূরত্ব মাত্র ৬৪ কিঃ মিঃ যেখানে অন্যান্য স্থল বন্দরগুলো হতে পাকুড় পাথরের উৎপাদন স্থল হতে প্রায় ৩০০ কিঃ মিঃ অধিক দূরত্ব। যার কারনে অন্যান্য স্থল বন্দরে কেয়ারিং খরচ বেশী হওয়ার কারনে ১৫ ডলার/মেঃ টন এ্যাসেসমেন্ট সম্ভব হলেও সোনামসজিদ স্থল বন্দরে তা সম্ভব নয়। তাই বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেতে সকল পাথর আমদানীকারকগণ পাথর আমদানী থেকে বিরত থাকতে ঐক্যমত প্রকাশ করেন। উল্লেখ্য, সোনামসজিদ স্থল বন্দর বাংলাদেশের ২য় বৃহত্তম স্থলবন্দর। এই বন্দর দিয়ে দেশে মোট চাহিদার উল্লেখযোগ্য পরিমান পাকুড় কালো পাথর আমদানী হয়ে থাকে। পাথর আমদানীতে আমদানীকারকগণ বিরত থাকায় একদিকে যেমন হাজার হাজার শ্রমিকরা কর্মহীন অবস্থায় মানবতার জীবন যাপন করছে। অপরদিকে সরকার কাঙ্খিত পরিমান রাজস্ব আদায় হতে বঞ্চিত হচ্ছে। গত ৬ আগাস্ট কমিশনার মহোদয়ের সঙ্গে (কাস্টমস ও ভ্যাট কমিশনারেট রাজশাহী) বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। তিনি তাৎক্ষনিক ভাবে কোন শুরাহা দিতে পারেননি, উর্ব্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন। এই প্রেক্ষিতে অদ্য ০৭ আগস্ট পুনরায় পাথর ব্যবসায়িদের আলোচনা সভায় চলমান পরিস্থিতি উত্তোরনের লক্ষ্যে উল্লেখিত ১৫ ডলারে এ্যাসেসমেন্টে পাথর আমদানী থেকে বিরত থাকবে মর্মে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তবে সরকারে রাজস্ব বৃদ্ধি জন্য উল্লেখিত সমস্যা সমাধান না হওয়া পর্যন্তকাস্টমস্ কর্তৃপক্ষ সাময়িক শুল্কায়নের মাধ্যমে পাথর আমদানীতে অনুমতি প্রদান করলে আমদানীকারকগন পাথর আমদানীতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। সোনা মসজিদ স্থলবন্দর আমদানি ও রপ্তানিকারক গ্রুপের নির্বাচিত সভাপতি কাজী শাহাবুদ্দিনের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, আমদানি ও রপ্তানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মাওলানা মোঃ মামুনুর রশিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ রানা, কোষাধ্যক্ষ আসাদুল হক বি এল, বিশিষ্ট আমদানি কারক আলহাজ্ব সুমন আলীসহ মসজিদ স্থলবন্দর আমদানি রপ্তানিকারক গ্রুপেরন সকল সদস্যও আমদানি কারকগণ উপস্থিত ছিলেন। সোনামসজিদ স্থলবন্দর আমদানি রপ্তানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মাওলানা মোঃ মামুনুর রশিদ জানান, ১৩ ডলারে/মেঃ টন এ্যাসেসমেন্ট ছিল এতে পাথর ব্যবসায়ীরা স্বাচ্ছন্দে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিলেন কিন্তু ১৫ ডলারে ডলারে এ্যাসেসমেন্ট হলে পাথর ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে, তাই আমরা চাই পূর্বের সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকুক।