বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পাবনায় বিশাল র্যালি করেছে জেলা বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। শনিবার দুপুরে পাবনা জেলা বিএনপির কার্যালয় থেকে র্যালিটি শুরু হয়। র্যালিটি মহিলা কলেজ দিয়ে নিউ মার্কেট হয়ে ইন্দিরা মোড় দিয়ে শহরের প্রধান সড়ক আব্দুল হামিদ রোডে প্রবেশ করে। প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ট্রাফিক মোড় হয়ে চাপা মসজিদ হয়ে বড় বাজারের সামনে দিয়ে আবারও জেলা বিএনপির কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। এর আগে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে জেলা বিএনপির কার্যায়ে আসেন বিভিন্ন উপজেলা, থানা ও ইউনিয়ন বিএনপি এবং এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। নেতাকর্মীরা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান, চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিভিন্ন প্লেকার্ড ও ফেস্টুন নিয়ে উপস্থিত হোন। বিভিন্ন স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত করে তোলেন। র্যালিপূর্বে গোপালপুরস্থ জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। জেলা বিএনপির আহবায়ক ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিবের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, প্রধান বক্তা কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি হাসান জাফির তুহিন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাসুদ খন্দকার, সাবেক এমপি সেলিম রেজা হাবিব, এ কেএম আনোয়ারুল ইসলাম,জেলা বিএনপির সকল যুগ্ন-আহবায়ক, সিনিয়র নেতৃবৃন্দ, সকল অঙ্গসংগঠন নেতৃবৃন্দ। সমাবেশে বক্তারা বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে দেশের মানুষ যখন দিধাবিভক্ত তখনই প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বিএনপির প্রতিষ্ঠিত করেছিল। বিএনপি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বলেই, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা হয়েছিল। বিএনপি ও জিয়াউর রহমানের হাত ধরেই বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। কিন্তু আজ সেই গণতন্ত্র স্বৈরাচারি সরকারের কবলে পড়েছে। এজন্য শহীদ জিয়ার সৈনিকদের এগিয়ে আসতে হবে। বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে নব্বইয়ের গণআন্দোলনে যেভাবে সরকারের পতন হয়েছিল ঠিক একই ভাবে শহীদ জিয়ার উত্তরসূরি দেশ নায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে আবারও স্বৈরাচারি সরকারের পতন হবে এবং আগামী বছর স্বৈরাচারি সরকারমুক্ত বাংলাদেশে বিএনপির ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হবে।