যুগেযুগে কথায় আছে প্রেম মানে না কোন জাতি কূল’ প্রেম মানে না কোন বাঁধা’ যে প্রেম কাহিনীকে নিয়ে লেখাও হয়েছে হাজার হাজার ইতিহাস। সেই প্রেম কাহিনী আবারো প্রমাণ করতে এবার প্রেমের টানে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে প্রেমিক আব্দুল্লাহ হেল আমান (৩৭) এর কাছে ছুটে এসেছেন ফিলিপাইনের যুবতী আনা মারিয়া ভেলাস্কো (৩৭)। গত রবিবার (০৩ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রেমিক আব্দুল্লাহ হেল আমানের ভাড়া বাসা ক্ষেতলাল পৌর মহল্লার সদর এলাকায় চলে আসেন তিনি। ফিলিপাইনের এ যুবতী ক্ষেতলালে আসার খবরটি এলাকাসহ ফেইসবুকের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে নবদম্পতিকে দেখতে ওই বাড়িতে উৎসুক জনতার ঢল নামে। এমনকি এখনো তাদেরকে দেখতে এখনো জেলার নানা বয়সী নারীপুরুষ ভিড় করছেন প্রেমিক আব্দুল্লাহ হেল আমান এর বাসায়। জানা গেছে, ফিলিপাইন যুবতীর প্রেমিক আব্দুল্লাহ হেল আমান উপজেলার মামুদপুর ইউনিয়নের মিনিগাড়ী গ্রামের সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মৃত শারফুল ইসলাম তালুকদারের বড় ছেলে। গত ২ বছর পূর্ব হইতে ফিলিপাইন নাগরিক আনা মারিয়া ভেলাস্কো’র সাথে ফেইসবুকের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তারই ধারাবাহিকতায় বিবাহের উদ্দেশ্যে বিমান যোগে শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) ঢাকা শাহাজালাল আন্তজার্তিক বিমান বন্দরে পৌঁছায় ফিলিপাইন ওই যুবতী। সেখান থেকে প্রেমিক আব্দুল্লাহ হেল আমান গাড়ী যোগে (৩ সেপ্টেম্বর) রবিবার সকাল সাড়ে ১০ টার সময় ফিলিপাইন যুবতীকে নিয়ে ক্ষেতলাল পৌরসভার সদরে ভাড়া বাসায় পৌঁছায়। পরে বাদ যহর দুজনে ইসলামিক শরিয়ত মোতাবেক বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিবাহের সময় ওই যুবতীর নতুন নাম রাখা হয় মরিয়ম আমান। এবিষয়ে প্রেমিক আব্দুল্লাহ হেল আমান জানান, আমাদের দুজনার মধ্যে গত দুই বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। সে খ্রিস্টান ছিলো কিন্তু গত তিন বছর পূর্বে মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করেছে। সৌদি আরব চাকুরী করতো সেখান থেকে ভালোবাসার টানে আমাকে বিবাহের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশে চলে আসে। আমরা শরিয়ত মোতাবেক বিবাহ করেছি। এবিষয়ে ফিলিপাইন যুবতী আনা মারিয়া ভেলাস্কো জানান,আমি নিজ ইচ্ছায় প্রেমের টানে আব্দুল্লাহ হেল আমান কে বিবাহের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশে এসেছি। বিবাহ করেছি তার পরিবারও আমাকে মেনে নিয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ আমি ভালো আছি আপনারা আমাদের জন্য দোয়া করবেন। প্রতিবেশী শিক্ষক আব্দুল হান্নান বলেন, সৌহার্দ্য আমার ছাত্র ছিলো। যখন তার প্রেমের এই ঘটনা জানতে পারি। ফিলিপাইন এক মেয়ে তার বাসায় এসেছে। আমরা প্রতিবেশীরা ইসলামিক শরিয়ত মোতাবেক তাদের বিবাহ দিয়ে দিয়েছি। এবিষয়ে ক্ষেতলাল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, সংবাদ পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ফিলিপাইন নাগরিক আনা মারিয়া ভেলাস্কো কে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে সকল ঘটনা খুলে বলেন এবং তিনি নিজ ইচ্ছায় বাংলাদেশে এসেছেন বলেও তিনি পুলিশকে জানান।