চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার শেয়ালা কলোনী এলাকার মোসরীবোনা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীর শরীরে একই বিদ্যালয়ের সহকারী এক শিক্ষকের আপত্তিকর কাজে লিপ্ত হয়ে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক মোহাঃ সানাউল হক। গত ২৮ আগষ্ট ২য় প্রান্তিক মূল্যায়ন পরীক্ষা চলাকালিন শেষ সময়ে এ ঘটনা ঘটায় দুশ্চরিত্রের এই শিক্ষক। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন শারিরিকভাবে নির্যাতনের শিকার হওয়া শিক্ষার্থী ও শিক্ষার্থীর পিতা মোঃ সোহেল রানা। এঘটনার সাথে জড়িত অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক মোহাঃ সানাউল হক কে আটক করেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশ। ৪র্থ শ্রেণীর ওই শিক্ষার্থীর শ্রেনী রোল নম্বর-২৬। শিক্ষার্থীর বাড়ি একই এলাকায়।
শিক্ষার্থী ও শিক্ষার্থীর পিতা মোঃ সোহেল রানার লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার শেয়ালা কলোনী এলাকার মোসরীবোনা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গত ২৮ আগষ্ট দুপুরে ২য় প্রান্তিক মূল্যায়ন পরীক্ষা দিতে যায় ৪র্থ শ্রেণীর ওই শিক্ষার্থী। বিকেলে পরীক্ষা শেষের দিকে রুমে একাকী পেয়ে সহকারী শিক্ষক মোহাঃ সানাউল হক ওই শিক্ষার্থীর শরীরে হাত দেয় এবং বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে আপত্তিকর কাজে লিপ্ত হয়। ওই শিক্ষার্থী বাধা দিলে টাকার প্রলোভন দেয় ওই শিক্ষক এবং বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য বলে।
এমন ঘটনার পর বাসায় গিয়ে ওই শিক্ষার্থী পরিবারকে বিষয়টি খুলে বলে। শিক্ষার্থীর সাথে শিক্ষকের এমন ঘটনায় এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এঘটনার পর থেকে সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের পরামর্শে ছুটি নিয়ে নেয় দুশ্চরিত্রের ওই শিক্ষক মোহাঃ সানাউল হক। বিষয়টি সমাধানের জন্য স্থানীয়ভাবে চেস্টাও করা হয়। এদিকে, অভিযোগের প্রেক্ষিতে ১০ সেপ্টেম্বর সকালে মোসরীবোনা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঘটনার তদন্তে যান উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার পরিমল কুমার কুন্ডুর নেতৃত্বে একটি দল। সেখানে তদন্ত শেষে স্থানীয়রা অভিযুক্ত শিক্ষক কে বিদ্যালয়ে পেয়ে বিদ্যালয় ঘেরাও করে। পরিস্থিতি সমলাতে থানা পুলিশকে খবর দিয়ে সদর মডেল থানা পুলিশ সেখানে গিয়ে পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে এবং দুশ্চরিত্রের ওই শিক্ষক মোহাঃ সানাউল হক কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এব্যাপারে সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সাজ্জাদ আলী জানান, মোসরীবোনা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক শিক্ষার্থীর সাথে একই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোহাঃ সানাউল হক এর আপত্তিকর কাজের অভিযোগে অভিযুক্ত শিক্ষক কে বিদ্যালয়ে পেয়ে বিদ্যালয় ঘেরাও করে স্থানীয়রা। পরিস্থিতি সমলাতে থানা পুলিশ শিক্ষক সানাউল হক কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়ে আসে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ওই শিক্ষক সানাউল হক পুলিশ হেফাজতে ছিলো।