জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক সম্মাননা-২০২৩ পেলেন ‘দৈনিক চাঁপাই দর্পণ’ এর নিজস্ব প্রতিনিধি শফিকুল ইসলাম এবং তার মেয়ে সুমাইয়া ইয়াসমিন মাস্টার্সে কৃতি শিক্ষার্থী হিসেবে সম্মাননা স্মারক পেয়েছেন। শনিবার দিনব্যাপী রহনপুর ডাকবাংলো চত্বরে গণমাধ্যম কর্মীদের সংগঠন ‘সাংবাদিক কল্যাণ তহবিল’ নাচোল, গোমস্তাপুর ও ভোলাহাট উপজেলার আয়োজিত ১২ বছর পূর্তি উৎসবে তিন উপজেলার ৫জন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও ৪ জন কৃতি শিক্ষার্থীদের সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে এ সম্মাননা স্মারক তুলে দেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য জিয়াউর রহমান।
শফিকুল ইসলাম এর সংক্ষিপ্ত জীবনী-মু. শফিকুল ইসলাম ১৯৬৮ খ্রিষ্টাব্দের ২০ জুন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলা সদর রহনপুর পৌরসভার বাবুরঘোন মহল্লায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মরহুম ইয়াসিন আলী ও মাতা মরহুম নারজিনা বেগম। বাবা গৃহস্থ ও মাতা গৃহিণী ছিলেন। তার পিতামহ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের রহনপুর ইউনিয়নের ৫ বার নির্বাচিত ভাইস প্রেসিডেন্ট (ভাইস চেয়ারম্যান) ছিলেন। এছাড়াও তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জজ কোর্টের জুরির হাকিম ছিলেন। শফিকুল ইসলাম পড়ালেখা করেছেন উত্তর রহনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রহনপুর আহমদী বেগম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় এবং রহনপুর পি.এম. আইডিয়াল কলেজে। তিনি রহনপুর ইউসুফ আলী সরকারি কলেজে ডিগ্রিতে ভর্তি হয়ে কর্মজীবনে পদার্পণ করায় লেখাপড়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। ১৯৮৩ সাল থেকে কবিতা, ছোট গল্প লেখালেখি করতেন। তখন রহনপুর সবুজ সংঘ থেকে অনিয়মিতভাবে ‘প্রতিভা বিকাশ’ নামে একটি পত্রিকা প্রকাশ হতো। ওই পত্রিকায় তার প্রথম কবিতা ‘ব্যথা’ প্রকাশিত হয়। রহনপুর ইউসুফ আলী সরকারি কলেজের স্মরণিকায় ছোট গল্প ‘জীবন দীপিকা’ প্রকাশিত হলে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি হয়।
১৯৮৭ সালে রেলওয়ে বুক স্টল ও পত্রিকা এজেন্ট মরহুম আসাদুল্লাহর পরামর্শে রাজশাহী থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক সোনার দেশ পত্রিকার মধ্য দিয়ে সাংবাদিকতা শুরু করেন। পরবর্তীতে সোনার দেশ দৈনিক পত্রিকায় রূপান্তরিত হয়। তিনি দৈনিক সংগ্রাম, দৈনিক রূপালী, সাপ্তাহিক সুগন্ধা, দৈনিক বাংলাদেশ বুলেটিন, দৈনিক অধিকরণেও যুক্ত ছিলেন। তিনি বর্তমানে দৈনিক আমাদের নতুন সময়, দৈনিক চাঁপাই দর্পণ ও ইংরেজি ডেইলি ট্রাইব্যুনাল পত্রিকার গোমস্তাপুর উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত আছেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলার ইতিহাস-ঐতিহ্য, ঐতিহাসিক স্থান, কাল-পাত্র, সমসাময়িক বিষয় নিয়ে অসংখ্য ফিচার ও দৈনন্দিন রিপোর্ট প্রকাশ করে সাংবাদিকতায় অবদান রেখে চলেছেন।
শফিকুল ইসলাম ১৯৯৫ সালে রহনপুর পি.এম. আইডিয়াল কলেজে অফিস সহকারী হিসেবে নিয়োগ লাভ করে অদ্যবধি কর্মরত আছেন। তিনি দুই কন্যা সন্তানের জনক। তার বড় মেয়ে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থ বিজ্ঞানে অনার্স ও মাস্টার্স এবং থিসিসসহ ৫ম স্থান অধিকার করে কৃতিত্বের সাথে ডিগ্রি অর্জন করেন। ছোট মেয়ে রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজে বাংলায় অনার্স চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। শফিকুল ইসলাম টানা ৩৬ বছর ধরে সাংবাদিকতায় অবদান রাখায় সাংবাদিক কল্যাণ তহবিল তাকে “জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক সম্মাননা-২০২৩” প্রদান করছে।
‘দৈনিক চাঁপাই দর্পণ’ এর নিজস্ব প্রতিনিধি শফিকুল ইসলাম জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক সম্মাননা এবং শফিকুল ইসলামের মেয়ে সুমাইয়া ইয়াসমিন কৃতি শিক্ষার্থী হিসেবে সম্মাননা পাওয়ায় ‘চাঁপাই দর্পণ’ পরিবারের পক্ষ থেকে অভিনন্দন ও আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে শফিকুল ইসলামের পরিবার ও সাংবাদিক কল্যাণ তহবিল এর সকল সদস্যের দীর্ঘায়ু ও সুস্থতা কামনা করেছেন ‘দৈনিক চাঁপাই দর্পণ’ এর প্রকাশক ও সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম রঞ্জু।