জয়পুুরহাট জেলার সীমান্ত ঘেঁষা দিনাজপুরের বাংলা হিলি (হাকিমপুর) স্থলবন্দর বাজারে আমদানি বন্ধের অযুহাত একদিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ৯০ টাকা। একদিন আগের ৯০ টাকার ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা কেজি দরে। হঠাৎ দাম বাড়ায় চরম বিপাকে সাধারণ ক্রেতারা। শনিবার দুপুরে হিলি স্থলবন্দর বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত বৃহস্পতিবার ভারত থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজ পাইকারি বাজারে বিক্রি হয়েছিল ৮৫ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে। যা একদিনের ব্যবধানে বিক্রি হচ্ছে ১ শত ৮০ টাকা কেজি দরে। ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ায় বাড়তে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম এমনটাই বলেছেন ব্যবসায়ীরা। হিলি বাজারে পাইকারি পেঁয়াজ ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে। যার কারণে দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। কয়েকদিন আগে ৯০ টাকা কেজি বিক্রি করেছি। আজ তা ১ শত ৮০ টাকা কেজি বিক্রি করছি। আমদানিকারকদের কাছ থেকে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে যার কারণে খুচরা বাজারেও দাম বেশি। হিলি স্থলবন্দরে জয়নাল আবেদিন নামের একজন পাইকার বলেন, হঠাৎ করে বন্দরে পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ হয়ে গেছে। যদি আবার হুট করে বাজার কমে যায় তাহলে আমাদের মতো অসংখ্য ব্যবসায়ীদের লোকসান গুনতে হবে। হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা মোছা: লাইলি বেগম বলেন, গত দুইদিন আগে ৯০ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ কিনেছিলাম। আজ সেই পেঁয়াজ ১ শত ৮০ টাকা কেজি। একদিনের মধ্যে এভাবে দাম বাড়লে আমাদের মতো সাধারণ মানুষের কি অবস্থা হবে।যা আপনারা লিখুনির মাধ্যমে তুলে ধরলে আমাদের দুর্দশা সম্পর্কে সরকার জানতে পাড়বে বলে তিনি বলেন। এমন বিষয়টি নিয়ে হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি কারক গ্রুপের সভাপতি ও বাংলা হিলি হাকিমপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন উর রশিদ হারুনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ভারত আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কেননা বর্তমান বাজারে দেশি পেঁয়াজ পর্যাপ্ত আমদানি হয়নি। আর কিছুদিন যদি ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি হতো তাহলে বাজার নিয়ন্ত্রণে থাকতো। তিনি আরও বলেন, আমি আশা করবো দুই দেশের সরকার আলোচনা করে আরও কিছু দিন পেঁয়াজ আমদানি স্বাভাবিক রাখবেন।