পাবনার কৃতিসন্তান দেশের ২২ তম মহামান্য রাষ্ট্রপতি বীর মক্তিযোদ্ধা মোঃ সাহাবুদ্দিন’র ৭৫ তম শুভজন্মদিন পালন করেছেন রাষ্ট্রপতির জন্মভুমির ‘আমরা পাবনাবাসী’র ব্যানারে পাবনা প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী সংগঠন। রবিবার সন্ধ্যায় পাবনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত শুভ জন্মদিনের আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রবীণ সাংবাদিক পাবনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি প্রফেসর শিবজিত নাগ। প্রধান অতিথি ছিলেন, পাবনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আ.স.ম আব্দুর রহিম পাকন। বিশেষ অতিথি ছিলেন পাবনা প্রেসক্লাব সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমান, পাবনা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোশাররফ হোসেন, সাধারন সম্পাদক সোহেল হাসান শাহীন, পাবনা প্রেসক্লাব সম্পাদক সৈকত আফরোজ আসাদ। বিশেষ আলোচক ছিলেন, প্রবীণ সাংবাদিক আক্তারুজ্জামান আখতার, জেলা আওয়ামী সদস্য মোস্তাক আহম্মেদ আজাদ, সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আব্দুল আজিজ, সমাজ সেবক রানা গ্রুপের চেয়ারম্যান রুহুল আমীন বিশ্বাস রানা, সাংবাদিক এস এম মাহাবুব আলম, সংবাদপত্র পরিষদের সাধারন সম্পাদক শহীদুর রহমান প্রমুখ। পাবনার কৃতিসন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহাবুদ্দিন চুপ্পু পাবনাবাসীর গর্ব। স্বাধীনতা পরবর্তীতে এই প্রথমবারের মতো পাবনার মাটি মানুষের সাথে বেড়ে ওঠা একজন রাজনৈতিক ব্যাক্তি ও রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করা একজন সাদা মনের মানুষ দেশের ২২ তম মাহামান্য রাষ্ট্রপতি হয়েছেন। অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্য ও স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে শুরুতেই মহান বিজয় দিবসকে সামনে রেখে মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে আত্মহুতি দানকারী বীর শহীদের সম্মান জানিয়ে একমিনিট নিরবতা পালন করা হয়। পরে মহামান্য রাষ্ট্রপতির শুভ জন্মদিন উপলক্ষে নান্দনিক সৌন্দর্যপূর্ণ একটি বিশাল কেক কাটেন আমন্ত্রিত অতিথিরা। পরে মহামান্য রাষ্ট্রপতির দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করে দোয়া করা হয়।
জন্মদিনের অনুষ্ঠানে আলোচকেরা বলেন, সারা বাংলাদেশের মানুষের সাথে আমরা পাবনাবাসী তার জন্য গর্ববোধ করছি। সারা দেশের মানুষের সাথে বিশ্বের সকল রাষ্ট্র আজ তাকে চেনেন ও জানেন। একজন বিজ্ঞ আইনজীবী ও রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনকারী রাজনৈতিক ও ইতিহাস সংগ্রামের সাথে যিনি সরাসরি জড়িত ছিলেন আমাদের মহামান্য। তাই পাবনাবাসীর আশা ও স্বপ্নের মানুষ তিনি। তিনি বাংলাদেশ মহামান্য রাষ্ট্রপতি আর আমাদের পাবনার মানুষের অভিভাবক। পাবনার সাধারন মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল। তাঁর সু-দৃষ্টিতে পাবনা উন্নয়নের ছোঁয়ায় আলোকিত হবে এটাই প্রত্যাশা।