২ লাখ ১৮ হাজার ৭২ জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জে। মঙ্গলবার সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি ডা. মোঃ আনজিম মাকসুদ।
এসময় চাঁপাইনবাবগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাক্তার মোঃ মাসুদ পারভেজ, পৌরসভার প্যানেল মেয়র মোঃ জিয়াউর রহমান আরমান, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ইপিআই ইন্সপেক্টর আমিরুল ইসলাম জীবন, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এম.পি ইপিআই মোঃ ইলিয়াস আলী, পৌরসভার সুপারভাইজার মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেনসহ সিভিল সার্জন অফিসের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা।
ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো কার্যক্রমে মঙ্গলবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অতিরিক্ত শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছে। এবছর লক্ষ্যমাত্রা ২ লাখ ১৮ হাজার ৭২ জন শিশু হলেও জেলায় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছে ২ লাখ ২০ হাজার ৬৬৫জন শিশুকে বলে নিশ্চিত করেছেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ইপিআই ইন্সপেক্টর আমিরুল ইসলাম জীবন।
২ লাখ ১৮ হাজার ৭২ জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের বিষয়টি সিভিল সার্জন অফিসের আয়োজনে ও জাতীয় পুস্টিসেবা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য ও পরিবার মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নে সোমবার সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যা¤েপইন-২০২৩ উপলক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এ তথ্য জানান সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি ডা. মোঃ আনজিম মাকসুদ। আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যত। তাদের সুস্থ্য ও সবলভাবে গড়ে তুলতে, শিশুর সুস্থভাবে বেঁচে থাকা, স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও দৃষ্টিশক্তির জন্য ভিটামিন ‘এ’ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। অপুষ্টিজনিত অন্ধত্ব নির্মূল এবং অপুষ্টিজনিত শিশু মৃত্যু প্রতিরোধ করার লক্ষ্যে ১২ ডিসেম্বর সারাদেশের সাথে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়। জেলার ৫টি উপজেলা ও পৌরসভা এলাকায় শিশুদের এই ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ভ্রাম্যমানসহ ১২০৪ টি কেন্দ্রের মাধ্যমে মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ২৬ হাজার ৬৩৮ শিশুকে ১টি করে নীল রঙের ভিটামিন “এ’ ক্যাপসুল এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ১ লাখ ৯১ হাজার ৪৩৪ শিশুকে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল কার্যক্রম সফল করতে ১৪৯ জন স্বাস্থ্য সহকারি, ২৩৭ জন পরিবার কল্যাণ সহকারি এবং ২ হাজার ৪১২ জন স্বেচ্ছাসেবী নিয়োজিত ছিলেন। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ইপিআই ইন্সপেক্টর আমিরুল ইসলাম জীবন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।