মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলায় নৌকার সমর্থকদের বিজয় মিছিলে পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের হামলার অভিযোগ উঠেছে। এতে দু’পক্ষের ২৫ জন আহত হয়েছেন। সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার আনন্দবাস গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে মুজিবনগর থানার ওসি উজ্জ্বল কুমার দত্ত জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মেহেরপুর-১ আসনে নৌকার প্রার্থী ও জন প্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ৯৪ হাজার ৩০৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রফেসর আব্দুল মান্নান ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ৫৭ হাজার ৬৮২ ভোট। সোমবার রাতে আনন্দবাস গ্রামে আনন্দ মিছিল করে বিজয়ী নৌকার প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা। সাড়ে ৯টার দিকে মিছিলটি ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থীর নেতা জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও মুজিবনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়া উদ্দীন বিশ্বাসের বাড়ির সামনে পৌঁছায়। এ সময় কথা কাটাকাটির জেরে মিছিলের মধ্যে থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থীর এক কর্মীকে চড়-থাপ্পড় মারা হয়। এতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকরা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন।
তারা বিভিন্ন বাড়ির ছাদের উপর থেকে নৌকার কর্মী সমর্থকদের উপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। এক পর্যায়ে দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে নৌকার কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলা চালায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকরা। এতে নৌকার পক্ষের ২০ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর ৫ কর্মী-সমর্থক আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। আহতদের মধ্যে সাবেক ইউপি সদস্য ফেরদৌস আলীসহ তিন কর্মীর অবস্থা গুরুতর হলে চিকিৎসক তাদের মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। ওসি আরও জানান, খবর পেয়ে মুজিবনগর থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয় পক্ষের নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। তিনি আরও জানান, কেউ মামলা করলে তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা যায়নি। অভিযোগের বিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক ও উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান কামরুল হাসান চান্দু বলেন, মেন্তা মেম্বারের নেতৃত্বে একটা মিছিল স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের বাড়িতে গিয়ে হামলার চেষ্টা করে। তখন এলাকাবাসী মিছিলকারীদের প্রতিরোধ করতে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের লোকজনই আহত হয়েছেন।