শপথবাক্য পাঠ করেছেন দ্বাদশ জাতীয় সংসদে নবনির্বাচিত সকল সংসদ সদস্যরা। আওয়ামীলীগের এমপিদের শপথ শেষে অনুষ্ঠিত দলের সংসদীয় দলের সভায় শেখ হাসিনাকে সংসদ নেতা নির্বাচিত করা হয়। একাদশ জাতীয় সংসদেরও নেতা ছিলেন তিনি।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ দল আওয়ামীলীগের সংসদীয় দলের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তার নাম প্রস্তাব করেন এবং নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন ওই প্রস্তাবের সমর্থন জানান। পরে সর্বসম্মতিক্রমে তা গৃহীত হয়।
সংসদ নিতা নির্বাচনের পাশাপাশি বৈঠকে সংসদ উপনেতাও নির্বাচিত করা হয়। একাদশে জাতীয় সংসদের উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরীকেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদের উপনেতা নির্বাচিত করা হয়। এদিকে, সংসদীয় দলের সভায় বর্তমান স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে আবারও স্পিকার হিসেবে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত হয়। ডেপুটি স্পিকার হিসেবে শামসুল হক টুকুকে আবারও নির্বাচনের সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়া বর্তমান নুর ই আলম চৌধুরী লিটনকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদে চিফ হুইপ হিসেবে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। লিটন চৌধুরী আওয়ামীলীগের সংসদীয় দলের সেক্রেটারি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। এর আগে, সকাল ১০টায় জাতীয় সংসদ ভবনের শপথ কক্ষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদরা শপথগ্রহণ করেন। তাদের শপথ পাঠ করান স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। অন্য সংসদ সদস্যদের শপথের আগে বিধি অনুযায়ী নতুন সংসদ সদস্য হিসেবে প্রথমে শিরীন শারমিন নিজেই শপথ নেন। এরপর বেলা ১১টায় স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা শপথ নেন। বেলা ১২টায় জাতীয় পার্টি ও অন্য দল থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা শপথ নেন। নিয়মানুযায়ী শপথগ্রহণের পরই নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা কার্যভার গ্রহণ করবেন। আইন অনুযায়ী, সংসদ নির্বাচনে কেউ নির্বাচিত হওয়ার পর সংসদের প্রথম বৈঠকের তারিখ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে শপথ না নিলে তার আসন শূন্য হবে। তবে এই ৯০ দিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে স্পিকার যথার্থ কারণে তা বাড়াতে পারবেন।
উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশন ঘোষিত ফল অনুযায়ী, ২৯৮টি আসনের বেসরকারি ফলে আওয়ামীলীগ ২২৩টি জাতীয় পার্টি ১১টি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ ও বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি একটি করে এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৬২টি আসনে বিজয়ী হন। মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন।