চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে চলতি রবি মৌসুমে সরিষার বাম্পার ফলনের আশা করছেন স্থানীয় কৃষক ও উপজেলা কৃষি অফিস। উপজেলার ৪টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত নাচোল উপজেলা। এবারের আবহাওয়া প্রতিকুল থাকায় মাঠজুড়ে যেন হলুদের সমারোহ। ক্ষেতের চারপাশে তাকালেই শুধু হলুদের অলংকারে সেজেছে প্রকৃতি। বাতাসে হেলেদুলে সরিষার ফুলগুলো সুবাস ছড়াচ্ছে চারদিকে। সেই সাথে মৌমাছিরা দলবেধে সরিষার ফুল থেকে মধু আহরণ করছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের বরেন্দ্র ভুমির নাচোল এ বছর সরিষা চাষাবাদের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছিল ৮ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রা ছড়িয়ে ১ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে এবার বেশী চাষাবাদ হয়েছে বলে উপজেলা কৃষি অফিস জানিয়েছেন। নতুন জাতের বিনা-৯ বারি ১৪-১৭ ও ১৮ জাতের সরিষার চাষাবাদ হয়েছে। তৈল জাতীয় ফসলের চাষাবাদ বৃদ্ধির লক্ষে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী আমন মৌসুমের শুরু থেকেই নাচোল উপজেলা কৃষি অফিস সরিষা চাষা বাদের কার্যক্রম শুরু করেন। কৃষি কর্মকর্তা জানান, সরিষা চাষে দ্বিগুণেরও বেশী লাভ হচ্ছে কৃষকের অন্যদিকে সরিষার ফুল ও পাতা ঝরে জমিতে জৈব সার তৈরী হয়। এছাড়া সরিষা কাটার পর অল্প সার প্রয়োগ করে বোরো ধান চাষ ভালো হয়। বর্তমানে সরিষা ক্ষেতে দানা দেখা দিয়েছে যা আর হয়তো ১৫/২০ দিনের মধ্যেই সরিষা কাটা হবে বলে কৃষক রা জানান। উপজেলার কসবা ইউনিয়নের উত্তর চন্ডিপুর ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি অফিসার রাকিবুল হাসান জানান, তার ব্লকে ১২২০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষাবাদ হয়েছে।,সদর ইউনিয়নের ভূজইল গ্রামের কৃষক আব্দুল বারী জানান, চলতি রবি মৌসুমে তিনি ৪০ বিঘা জমিতে এবং নাশিরাবাদ গ্রামের কৃষক আব্দুস সালাম ৩৫ বিঘা জমিতে এবার সরিষার আবাদ করেছেন। তারা বলছেন সরকারী ভাবে প্রণোদনা এবং বিভিন্ন প্রদর্শণী পাওয়া, সেই সাথে অন্যান্য রবিশষ্যের মধ্যে সরিষার মুল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষক সরিষা চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার সালেহ আকরাম আমাদের সময়কে জানান, সকল রবি শষ্য চাষাবাদে কৃষকদের যথাযথ ভাবে পরামর্শ ও পরিচর্যার বিষয়ে দিক নির্দেশনা দেয়ার কারনে এবং সরিষার ন্যায্যমুল্য পাওয়ায় কৃষকরা সরিষা চাষাবাদে আগ্রহ বেড়েছে।