দেশের উত্তরের জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার বেশিরভাগ মানুষের জীবন-জীবিকা কৃষির উপর নির্ভর। তাই কৃষি চাষাবাদে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। এ অঞ্চলের কৃষকরা জমিতে বিভিন্ন ফসল চাষাবাদ করে থাকেন। তবে আমন ও ইরি-বোরো মৌসুমে বছরে দু’বার প্রধান ফসল হিসেবে জমিতে ধান চাষাবাদ করে থাকেন। জমিতে চাষাবাদ করতে প্রকৃতির সাথে চলে অবিরাম এ অঞ্চলের কৃষকের লড়াই। গত বেশ কিছুদিন ধরে দিনের বেশিরভাগ সময় দেখা মিলছে না সূর্যের। ঘন কুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডায় জবুথবু অবস্থা, তবুও থেমে নেই এ অঞ্চলের কৃষকরা। শীতকে উপেক্ষা করে শুরু করেছেন জমিতে বোরো ধানের চারা রোপণ। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকেরা কুয়াশা ও কনকনে ঠাণ্ডাকে উপেক্ষা করে ট্রলি কিংবা ট্রাক্টর দিয়ে হালচাষ করে জমি তৈরি করে নিচ্ছেন।
পাশাপাশি বীজতলা থেকে চারা তুলে জমিতে বোরো ধান রোপণে ব্যস্ত এখন কৃষকরা। কেউ বৈদ্যুতিক সেচ পাম্প চালু করে জমিতে সেচ দিচ্ছেন, কেউ আবার পাওয়ার টিলার আও ট্রাক্টর দিয়ে জমি চাষ করে নিচ্ছেন। আবার অনেকে কনকনে ঠান্ডাকে উপেক্ষা করে জমির কাঁদাপানিতে নেমে মই টানছেন। কৃষি শ্রমিকরা কুয়াশাচ্ছন্ন সকালে বীজতলা থেকে চারা তুলে বিকাল পর্যন্ত জমিতে ধানের চারা রোপণ করেছেন। উপজেলার নেজামপুর ইউনিয়নের জমিন কমিন গ্রামের কৃষক সেরাজুল ইসলাম বলেন, ৬বিঘা জমিতে চাষাবাদ করে চারা রোপণ শুরু করে দিয়েছি। যেহেতু শীতের মৌসুম, শীততো থাকবেই। শীতের ভয়ে হাত গুটিয়ে বসে থাকলে তো আর পেট চলবে না। রাওতাড়া গ্রামের ইব্রাহিম আলী জানান, ২বিঘা বোরো ধানের চাষাবাদ করেছি। সরিষা তুলে আরো ২বিঘা চাষাবাদ করবো। কৃষ্ণপুর গ্রামের কৃষক সেলিম রেজা বলেন, ৩বিঘা জমিতে বোরো চাষাবাদ শুরু করেছি। তবে এ বছর কনকনে ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে কয়েকদিন পরে চারা রোপণ করব।
উপজেলা কৃষি অফিসার সলেহ্ আকরাম বলেন, উপজেলায় চলতি বোরো মৌসুমে ৯ হাজার ৯শত ৯০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তার মধ্যে এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ৭শত ৫০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়েছে। এবছর বোরো মৌসুমে ৪হাজার ৫০জন কৃষককে সার ও বীজ কৃষি প্রনোদনা দেওয়া হয়েছে।