গাজীপুরে টঙ্গীর তুরাগ তীরে তিন দিনব্যাপী বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুরুর আগে ও পরে এখন পর্যন্ত সাতজন মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে একজন সড়ক দুর্ঘটনায় এবং বাকি ছয়জন বার্ধক্যজনিত কারণে মারা গেছেন। নিহত মুসল্লিরা হলেন,শেরপুর সদর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের মোহাম্মদ আবুল কালাম (৬৫), নেত্রকোণার কেন্দুয়া থানার কুতুবপুর গ্রামের মো. হেলিম মিয়া (৬৫), দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ থানার শিবনগর এলাকার মো. জহির উদ্দিন (৭০) ও জামালপুর জেলার ইসলামপুর থানার গোয়ালের চর গ্রামের নবীর উদ্দিন (৬৫)। এদিক আজ ইজতেমায় আসার পথে আব্দুল্লাহপুরে বাসের ধাক্কায় আবুল কাশেম (৬৫) নামে এক মুসল্লি নিহত হয়েছেন। আবুল কাশেমের বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলায়। আর মারা যাওয়া অন্য দুইজনের নাম পরিচয় এখনও জানা যায়নি। বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের মিডিয়া সমন্বয়কারী মোহাম্মদ সায়েম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ছয়জনই বার্ধক্যজনিত কারণে মারা গেছেন। অন্য একজন সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। তিনি জানান, যাদের তথ্য ও ঠিকানা পাওয়া গেছে, তাদের স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। উল্লেখ্য, শুক্রবার শুরু হয়েছে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। এ পর্বে অংশ নিচ্ছে ভারতের মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার থেকেই শুরু হয়েছে বয়ান। এদিকে ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে যোগ দিয়েছেন মাওলানা সাদের তিন ছেলে। তারা হলেন-মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ কান্ধলভী, মাওলানা সাঈদ বিন সাদ কান্ধলভী ও মাওলানা ইলিয়াস বিন সা’দ কান্ধলভী। শুক্রবার ভোরে ফজরের নামাযের পর মাওলানা সাদের ছোট ছেলে মাওলানা ইলিয়াস বিন সাদ কান্ধলভীর আমবয়ানের মধ্য দিয়ে ইজতেমা শুরু হয় দ্বিতীয় পর্বের মূল আনুষ্ঠানিকাতা। আজ জুমার জামাতে অংশ নেবেন লাখো মুসল্লি। মাওলানা সা’দের বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ বিন সা’দ কান্ধলভী এতে ইমামতি করবেন। আগামী রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে বিশ্ব ইজতেমা।