বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) চোরাচালান রোধে কার্যকর ভূমিকা রাখছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, সীমান্ত রক্ষার পাশাপাশি দেশমাতৃকা রক্ষায় সদা অতন্দ্র প্রহরী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। সীমান্ত রক্ষার পাশাপাশি চোরাচালান, মাদকরোধ ও দেশের অভ্যন্তরে অগ্নি-সন্ত্রাসসহ বিভিন্ন ভূমিকা রেখেছে তারা। বাংলাদেশের মানুষের আস্থার প্রতীক হয়ে সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী হয়ে এগিয়ে যাবে বিজিবি-এটাই আমার প্রত্যাশা। সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) পিলখানায় বিজিবি দিবসের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এমন মন্তব্য করেন। বিজিবি সদস্যদের চেইন অব কমান্ড মেনে কাজ করার নির্দেশ দিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, শৃঙ্খলা এবং চেইন অব কমান্ড একটি বাহিনীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি। বিজিবির প্রতিটি সদস্যকে চেইন অব কমান্ড এবং কর্তৃপক্ষের আদেশ মেনে চলতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিজিবিকে বিশ্বমানের আধুনিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছে সরকার। বিজিবি হবে স্মার্ট বাহিনী। তাদের উন্নত প্রশিক্ষণের জন্য আমরা নানা পদক্ষেপ হাতে নিয়েছি। তিনি আরও বলেন, কারও কাছে যেন হাত পাততে না হয়, এজন্য দেশের প্রতিটি মানুষকে উৎপাদনমুখী হতে হবে। ২০৪১ সালের মধ্যে আমাদের দেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ। এর আগে প্রধানমন্ত্রী বিজিবির কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন। এ সময় বীরত্বপূর্ণ ও কৃতিত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ৭২ জন বিজিবি সদস্যকে পদক তুলে দেন। তিনি বলেন, পনেরো বছর আগে পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের মত ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন আর কখনো না ঘটে, সেই প্রত্যাশা রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী এবং দেশের অভ্যন্তরে যখনই কোনো সমস্যা হয়, সেই অগ্নিসন্ত্রাস থেকে শুরু করে নানা ধরনের ঘটনা ঘটেছে, তখনও বিজিবি মানুষের পাশে আছে। জানমাল রক্ষায় সবসময় ভূমিকা রাখে এবং জাতির একটা আস্থা বিশ্বাস আপনারা অর্জন করেছেন। আমরা ইতোমধ্যে এই বিজিবিকে আরো শক্তিশালী করার জন্য বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ আইন ২০১০ পাস করেছি। সাথে সাথে একটি দক্ষ আধুনিক একটি দ্বিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে বিজিবি গড়ে উঠেছে। জল স্থল এবং আকাশ পথেও দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশকে আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়তে চাই, আমাদের বিজিবিও হবে তেমনি একটি স্মার্ট বাহিনী।