নওগাঁর পোরশায় বিভিন্ন বাগানের আম গাছ ভরে গেছে মুকুলে মুকুলে। আমবাগান থেকে বের হচ্ছে মুকুলের মৌ-মৌ গন্ধ। বাগানগুলোর আম গাছ গুলিতে দেখা যাচ্ছে শুধু মুকুল আর মুকুল। গাছে গাছে ভরে আছে দৃশ্যমান সোনালী মুকুলের আভা। মুকুলের ভারে প্রতিটি আম গাছের মাথা নুয়ে পড়ার উপক্রম। এরই মধ্যে মৌমাছিরা যেন ব্যস্ত মধু আহরণে। গাছে মুকুলের সমারোহ দেখে বাগান মালিক এবং আম চাষীরাও খুশি। সোনালী স্বপ্নে যেন বিভোর বরেন্দ্র অঞ্চল খ্যাত এ উপজেলার আমচাষী আর বাগান মালিকরা। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে চলতি বছর আমের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছেন তারা। তেঁতুলিয়ার আমচাষী জিয়ারুল ইসলাম জানান, তিনি ১২বিঘা জমিতে আম চাষ করেছেন। আবহাওয়া ভাল থাকলে এবং আমের দাম ঠিক পেলে লাভ হবে। জালুয়া গ্রামের আমচাষি মোকছের আলী জানান, আবহাওয়ার যদি কোন বিপর্যয় না হয়, তাহলে প্রচুর আম উৎপাদন হবে। আর দাম পেলে এ উপজেলায় আরো আম চাষ হবে বলে তিনি জানান। তবে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নওগাঁ জেলার মধ্যে এ উপজেলায় সব চাইতে বেশি আম চাষ হচ্ছে। এবারে এ উপজেলায় আম চাষ হচ্ছে ১০হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে। আবহাওয়া ভাল থাকলে লক্ষমাত্রা ছড়িয়ে যাবে বলছেন সংশ্লিষ্টরা। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মেহেদী হাসান জানান, এ উপজেলায় প্রতি বছর আমের উৎপাদন বড়েই চলেছে। তবে সাধারনত ডিসেম্বর মাসে আমগাছ গুলিতে মুকুল আসে এবার ফেব্রুয়ারীতে মুকুল এসেছে। তারপরেও ব্যাপকহারে মুকুল আসায় এর পরিমান ধারা হয়েছে ৯০%। তারপরেও লক্ষমাত্রা ছড়িয়ে যাবে বলে তিনি আশা করছেন। এখানে উৎপাদিত আমের চাহিদা দেশে এবং দেশের বাইরে বেশ ভাল। এখানকার চাষিরা সবাই বানিজ্যিক ভিত্তিতে আমচাষ করছেন। ফলে তারা আম চাষে দক্ষ হওয়ায় আমের উৎপাদন ভাল হয়। আর চাষিদের সে লক্ষ্যে কাজ করার উৎসাহ দিচ্ছেন তারা বলে জানান তিনি। তিনি আরো জানান, আবহাওয়া এখন পর্যন্ত ভাল রয়েছে। শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া ভাল থাকলে এবছর পোরশায় আম উৎপাদন লক্ষ্য মাত্রা ছাড়িয়ে যাবে এবং চাষিরা আমের ভাল দাম পাবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করছেন।