চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জের কানসাট উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্র’২৪ এ এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ১ হাজার ৯৮৭ জন পরীক্ষার্থীর দেয়া অনুদান স্বরুপ ১৯ হাজার ৮৭০ টাকা প্রধান শিক্ষক ও মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহজাহান আলী আত্মসাৎ করার বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ হয় দৈনিক চাঁপাই দর্পণ, দৈনিক খবরপত্রসহ বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে। টাকা আত্মসাতের সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর ৩০ মার্চ সকালে কানসাট উচ্চ বিদ্যালয় জামে মসজিদের ১৮৩৭ নং চাঁদা আদায়ের রশিদ এর মাধ্যমে ১৯ হাজার টাকা জমা দেয় প্রধান শিক্ষক।
তবে বাঁকি ৮৭০ টাকার ব্যাপারে কিছু বলেনি প্রধান শিক্ষক। মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্য মোঃ সেতাউর রহমান মাষ্টার বলেন, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মসজিদের টাকা আত্মসাতের সংবাদ প্রকাশিত না হলে সে টাকা দিত না। সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশের পরই তড়িঘড়ি করে টাকা জমা দিয়েছেন কানসাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। উল্লেখ্য, ৩০ মার্চ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ঐতিহ্যবাহী শত বছরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কানসাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকে মোঃ শাহজাহান আলী’র বিরুদ্ধে কানসাট উচ্চ বিদ্যালয় জামে মসজিদের উন্নয়নমূলক কাজের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১ হাজার ৯৮৭ জন পরীক্ষার্থী কানসাট উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে অংশগ্রহণ করে। প্রত্যেক নিয়মিত পরীক্ষার্থী ৪৫০ টাকা এবং অনিয়মিত পরীক্ষার্থী ৪০০ টাকা করে কেন্দ্র ফি জমা দেয়।
তদুপরি প্রধান শিক্ষক শাহজাহান আলীর হুকুমে মানবিক বিভাগের ১ হাজার ৩৪০ জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে ৫০ টাকা এবং বিজ্ঞান বিভাগের ৬৪৭ জন পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ১১০ টাকা করে সর্বসাকুল্যে অতিরিক্ত ১ লক্ষ ৩৮ হাজার ১৭০ টাকা অবৈধভাবে আদায় করা হয়। এর মধ্যে প্রধান শিক্ষক ও মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহজাহান আলী এবং মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাথে আলোচনা সাপেক্ষে কানসাট উচ্চ বিদ্যালয় জামে মসজিদের চলমান উন্নয়নমূলক কাজের জন্য প্রতি পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে ১০ টাকা হারে সহযোগিতা ধার্য করা হয়। সেখানে ১৯ হাজার ৮৭০ টাকা হলে প্রধান শিক্ষক ও মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মসজিদ কমিটির হাতে মাত্র ৭ হাজার টাকা দিলে মসজিদ পরিচালনা কমিটি তা প্রত্যাখান করে। পরবর্তিতে প্রধান শিক্ষক সমুদয় টাকা নিজ পকেটে রাখে। অপরদিকে, ধারাবাহিক মূল্যায়ন পরীক্ষায় কানসাট উচ্চ বিদ্যালয়র ১৩৪ জন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ১০০ টাকা করে ১৩ হাজার ৪০০ টাকা আদায় করার কথা উঠে আসে। তাছাড়াও কোন হিসাব নিকাশ ছাড়া প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানের লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎসহ নানা অভিযোগ অভিযোগ রয়েছে।