জয়পুরহাটের কালাইয়ে সহকারী কৃষি কর্মকর্তা, দীর্ঘ ১১ বছর ধরে তার নানাকে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বানিয়ে জাল সনদে সরকারি চাকরি করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার বিতর্কিত ওই সনদের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে তার উপজেলার আটমুল (পইয়াগাড়ী) গ্রামের মোফাজ্জল হোসেন নামে এক ব্যক্তি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, জয়পুরহাট জেলা প্রশাসক, দুদক ও জয়পুরহাট জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযুক্ত ওই সহকারী কৃষি কর্মকর্তা হলেন বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার জগদীশ গ্রামের মৃত নিজামুদ্দিন আকন্দের ছেলে আবুল কাশেম আকন্দ। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবুল কাশেম জাল মুক্তিযোদ্ধা সনদ দিয়ে নাম পরিবর্তন করে মুক্তিযোদ্ধার কোটায় চাকরি করছেন। তিনি নিজের মা সাহারা বানুকে বগুড়ার শিবগঞ্জের আটমুল কথিল গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা নবিরউদ্দিন আকন্দের মেয়ে এবং নিজেকে নাতি বানিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর জাল করে প্রত্যয়নপত্র নিয়ে মুক্তিযোদ্ধার পোষ্য কোটায় চাকরি নিয়েছেন।
মুক্তিযোদ্ধার জাল সনদ তৈরি করে আবুল কাশেম সর্বপ্রথম ২০১৩ সালের ১২ আগস্ট উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা পদে কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলায় যোগদান করেন এবং সেখান থেকে সর্বপ্রথম সরকারি বেতন-ভাতা নেওয়া শুরু করেন। বর্তমানে তিনি জয়পুরহাটের কালাই উপজেলা সহকারী কৃষি কর্মকর্তা হিসাবে কর্মরত আছেন। অভিযুক্ত সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবুল কাশেম ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার জাল সনদে চাকরি নেওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রাহেলা পারভীন বলেন, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগের অনুলিপি পেয়েছি। জেলা প্রশাসক যে সিদ্ধান্ত নেবেন, সে পরিপ্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।