আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জে যুবলীগ নেতা খাইরুল আলম জেম হত্যা মামলার চার্জশিট না দিলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আওয়ামীলীগ নেতারা। এমনকি বিচার না পেলে এমপি পদ থেকে পদত্যাগের হুমকিও দিয়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওদুদ। রবিবার বিকেলে জেলা শহরের কল্যানপুরে শিবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর ও জেলা যুবলীগের সাবেক সহ শ্রম-বিষয়ক সম্পাদক খাইরুল আলম জেম হত্যার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে এসব হুঁশিয়ারি দেন আওয়ামীলীগ নেতারা। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি আব্দুল ওদুদ বলেন, গত বছরের ২৭ রমজানে ইফতারের পূর্ব-মুহূর্তে প্রকাশ্যে দিবালোকে কুপিয়ে হত্যা করা হয় যুবলীগ নেতা জেমকে। এক বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও চার্জশিট দেয়া হচ্ছে না। আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে জেম হত্যা মামলার চার্জশিট না দিলে মানববন্ধন, সড়ক অবরোধ ও অনশনের মতো কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।
এমপি ওদুদ আরও বলেন, আদালতে আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি থাকার পরেও জেম হত্যা মামলা নিয়ে পুলিশ কোনোরকম পাঁয়তারা করলে তা মেনে নেয়া হবে না। প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার চেয়ে আবেদন করব। তবুও বিচার না পেলে সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করব। জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওদুদ বলেন, যুবলীগ নেতা খাইরুল আলম জেম বেঁচে থাকা অবস্থায় তাকে বারবার মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়েছে। যুবলীগ নেতা ও সাবেক কাউন্সিলর খাইরুল আলম জেমকে যারা নির্মমভাবে রোজা অবস্থায় হত্যা করেছে, সেইসব সন্ত্রাসীদের কোনোভাবেই ছাড় দেয়া হবে না। হত্যা মামলা নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র করা হলে ঈদের পরে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে জেলা মৎস্যজীবীলীগের সভাপতি অ্যাড. রবিউল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জামাল আব্দুল নাসের পলেন, ১ নম্বর ওয়ার্ড আ.লীগের সভাপতি শরিফুল আলম, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইফতেখার আহমেদ রঞ্জুসহ আ’লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, গতবছরের ১৯ এপ্রিল চাঁপাইনবাবগঞ্জের উদয়নমোড়ে ইফতারির বাজার করার সময় যুবলীগ নেতা খায়রুল আলম জেমকে দেশি-বিদেশি ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে জখম করা হয়। পরে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার আগেই তার মৃত্যু হয়। হত্যাকান্ডের তিন দিন পর ২২ এপ্রিল জেমের বড় ভাই মনিরুল ইসলাম বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় ৪৮ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।