চাঁপাইনবাবগঞ্জে লাগামহীনভাবে বাড়ছে অবৈধ সিএনজি চালিত অটোরিকশা। ধূসর সবুজ বা কালো রঙের এসব নম্বর বিহীন অটোরিক্সা। নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও চলছে সিএনজিচালিত অটোরিক্সা। শুধু তাই নয়, নিয়ম ভেঙে আশপাশের জেলা থেকেও ঢুকছে জেলায় অবাধে। প্রতিদিন নম্বরবিহীন এসব যানবাহন জেলা শহর বা বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা অবৈধ সিএনজি সংখ্যা প্রায় ৫ শতাধিক। জেলা শহরের শান্তি মোড়ে সিএনজি স্ট্যান্ডে দেখা যায় বেশির ভাগ সিএনজি অটোরিক্সার প্রায় সবগুলোই রেজিস্ট্রেশন ছাড়া। চাঁপাইনবাবগঞ্জের আরেকটি বড় সিএনজি স্ট্যান্ড বিশ্বরোড মোড়ে। এরমধ্যে ৯৯% আবার বৈধ কাগজ নেই। বলতে গেলে অবৈধদের ভিড়ে বৈধরাই এখন কোণঠাঁসা। এসব অবৈধ সিএনজির নিজ মালিকানায় সমিতির মাধ্যমে ম্যানেজ করে প্রতিনিয়ত সদর থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় ছুটে চলছে। শুধু তাই নয় এসব সিএনজির বেশিরভাগ চালকরাই অদক্ষ। এসব অদক্ষ চালকরা সিএনজি চালায় বেপরোয়া গতিতে। তাদের চালানোর ধরনটা এমনই, যেন মানুষের উপর দিয়ে চালিয়ে হলেও দ্রুত গন্তব্যস্থলে পৌছতে হবে। আর এসব অদক্ষ চালকের কারণে প্রতিনিয়ত কোন না কোন মায়ের কোল খালি হচ্ছে সড়ক দূর্ঘটনায়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সিএনজি অটোরিকশা ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ আব্দুল খালেককে প্রশ্ন করা হয়, এইসব অবৈধ সিএনজি রোডে কি ভাবে চালাচ্ছেন, উত্তরে তিনি বলেন, পুর্বে যেইভাবে চলত, এখনও ঠিক সেই ভাবে চলছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ শামীম বলেন, শহরে অবৈধ সিএনজি অটো রিক্সা যানজট তৈরি করছে। সোনামসজিদ ও রাজশাহী রুটে এসব হাইওয়ে রোডে অবৈধ সিএনজি অটোরিক্সা গুলো ঝুঁকিপূর্ণভাবে যাত্রী নিয়ে অবাধে চলছে। জেলার বাইরে থেকেও এই জেলায় যেমন করে অবাধে এ অবৈধ সিএনজি অটো রিক্সা আসছে ঠিক তেমন করে অন্যান্য থানা থেকে এই থানায় যাওয়া-আসা করছে অবাধে। এতে করে যেমন যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে, তেমনি করে দুর্ঘটনাও বেড়ে চলেছে। এইসব অবৈধ সিএনজি অটো রিক্সা অনতিবিলম্বে যাতে করে বন্ধ করা হয়, আমি প্রশাসনের কাছে বিশেষ ভাবে জোর দাবি জানাচ্ছি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অসাধু সদস্যদের যোগসাজোস ছাড়া এটি সম্ভব নয়। তাই বিষয়টির ব্যবস্থা নেয়া জরুরী। দেশের প্রতিটি জেলায় অটোরিকশার ভিন্ন রং থাকলেও ব্যতিক্রম কেবল চাঁপাইনবাবগঞ্জে ও আশপাশের জেলাগুলো। এখানে সব সবুজ মিলেমিশে একাকার। এ বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ট্রাফিক বিভাগের উপপরিদর্শক (টি.আই)-১ মোঃ হামিদুল ইসলাম বলেন, এসব পুর্বে থেকে হয়ে আসছে, আমরা উপরের নির্দেশনায় ব্যবস্থা নিচ্ছি। আস্তে আস্তে একটা পর্যায়ে এগুলা ঠিক হয়ে যাবে।