ফরিদপুরের মধুখালীতে একটি মন্দিরে আগুনের ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ জনতার হামলা ও পিটুনিতে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতরা পাশের একটি স্কুলের নির্মাণকাজে থাকা শ্রমিক। এঘটনায় আহত হয়েছেন আরো পাঁচজন। বৃহস্পতিবার রাতে ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী এলাকায় এ ঘটনার পর সেখানে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে জানিয়ে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান তালুকদার বলেন, পঞ্চপল্লী মন্দিরে আগুনের ঘটনা ঘটে। এরপর স্থানীয় জনতা পাশের পঞ্চপল্লী স্কুলে অবস্থানরত নির্মাণ শ্রমিকদের ওপর হামলা চালায়। রাত সোয়া ২টার পর ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দুইজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা প্রশাসক কামরুল। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, হিন্দু অধ্যুষিত পঞ্চপল্লীর কালী মন্দিরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে আগুনের ঘটনা ঘটে। ওই মন্দিরের পাশেই পঞ্চপল্লী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। সেখানে নির্মাণশ্রমিকরা টয়লেট নির্মাণের কাজ করছিলেন। বিক্ষুব্ধ জনতা তখন তাদের ওপর হামলা চালায়। তাতেই হতাহতের ঘটনা ঘটে। মন্দিরে কীভাবে আগুন লেগেছে সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারেনি স্থানীয়রা। ঘটনার পর পরই সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পুলিশ সুপার মোরশেদ আলম রাত দেড়টার দিকে সাংবাদিকদের বলেন, পরিস্থিতি এখন শান্ত আছে। মধ্যরাতে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, পুরো এলাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘিরে রেখেছেন। তবে স্থানীয় লোকজনকে খুব একটা দেখা যায়নি। পুলিশ কিছুক্ষণ পর পর ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছিল। জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান তালুকদার আরও জানান, তিন প্লাটুন বিজিবি মোতায়েনের জন্য বলা হয়েছে। তারা শুক্রবার সকাল থেকে দায়িত্ব পালন করছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি শান্ত রাখতেই বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জেলা পুলিশের সদস্যরা ছাড়াও রাজবাড়ী থেকেও পুলিশ সদস্যরা এসেছেন।