চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে সমসপুর দাখিল মাদ্রাসার সুপার খাইরুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানের কোষাগার শূন্য করাসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। কয়েক বছর ধরে আয়-ব্যয়ের হিসাব না দেয়াসহ আরো বেশকিছু গুরুতর অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। মাদ্রাসার ভুক্তভোগী শিক্ষক ও কর্মচারীরা এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির কাছে লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন। এদিকে, মাদ্রাসা সুপার তার বিরুদ্ধে দেয়া অভিযোগগুলো অস্বীকার করেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসাটি নিয়ম মেনেই চলে আসছিল। কিন্তু ২০১৮ সাল থেকে করোনাকালীন পর্যন্ত মাদ্রাসার সুপারের অনিয়ম দৃষ্টি গোচর হতে শুরু করে। ওই সময়কালে বেশিরভাগ সময় তিনি মাদ্রাসায় অনুপস্থিত থাকলেও হাজিরা খাতায় ঠিকই স্বাক্ষর করেন। এছাড়া মাদ্রাসার পুকুর ও আমবাগান লিজ, পুরাতন বই বিক্রি, জমি লিজ, বছরে দুইবার টিউশন ফির টাকা, প্রতি বছর ফরম পূরণের টাকা, অনুদানের টাকাসহ বিভিন্ন খাত থেকে আসা লাখ লাখ টাকা আত্মসাত করে কোষাগার শূন্য করার অভিযোগ উঠেছে মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে। মাদ্রাসার আয়ের টাকা ব্যাংকের হিসাবে জমা না করে ব্যক্তিগত ভাবে জমা রেখে আত্মসাতের পাঁয়তারা করছেন বলে অভিযোগ লিপিতে উল্লেখ করেছেন। অথচ প্রতিষ্ঠান পরিচালনার ক্ষেত্রে টাকার প্রয়োজন পড়লে শিক্ষকমণ্ডলী ও কর্মচারীদের কাছ থেকে দফায় দফায় চাঁদা আদায় করেন। কেউ চাঁদা দিতে না চাইলে তাকে বিভিন্ন রকমের ভয়ভীতি দেখানো হয় বলেও অভিযোগ লিপিতে উল্লেখ করেন শিক্ষক কর্মাচারীরা। নিরাপত্তা কর্মী ও আয়া নিয়োগে বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। তার এসব অনিয়মের কারনে মাদ্রাসার শিক্ষক ও কর্মচারীরা আয়-ব্যয়ের হিসাব চাইলে তা না দিয়ে সুপার সময়ক্ষেপণ করছেন। এ বিষয়ে সমসপুর মাদ্রাসার শিক্ষক আশরাফুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম ও ফাতেমা খাতুন বলেন, উপরোক্ত অভিযোগ গুলি দীর্ঘদিন থেকে মাদ্রাসা সুপার করে আসছেন, ফলে বাধ্য হয়ে আমরা সভাপতি বরাবর আবেদন করেছি। মাদ্রাসার সুপার খাইরুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে হওয়া অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, একটি চক্র আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে, তবে শিঘ্রই মাদ্রাসার পরিবেশ ফিরে আসবে। অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, যাচাইপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।