ইলা মিত্রের স্মৃতি বিজড়িত চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলের নেজামপুর রেলস্টেশনে দীর্ঘদিন নেই টিকিট মাষ্টার। ট্রেনের বগি সংকটে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে যাত্রীরা। নেজামপুর রেলস্টেশনে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শত শত ট্রেনযাত্রীর ভিড় থাকলেও টিকিট মাষ্টার না থাকায় এবং ট্রেনের কোঁচ কম থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ট্রেনযাত্রীরা। এ বিষয়ে উপস্থিত স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রায় ৫ বছর পূর্বে সাধারণ জনগণ ও সংসদ সদস্য জিয়াউর রহমানের সহযোগিতায় ট্রেন দাঁড়ানোর দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
কিন্তু পরবর্তীতে করোনাকালিন সময় লোকাল দুইটি ট্রেনের মধ্যে আবার একটি বন্ধ হয়ে যায়। পূণরায় সংসদ সদস্য জিয়াউর রহমানের প্রচেষ্টায় লোকাল ট্রেনটি দুইটি চলাচল করছে। দিনরাতে রহনপুর টু রাজশাহী এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ টু রহনপুর ৪ বার যাওয়া আসা করে। তবে প্রায় এক বছর যাবৎ কোন টিকিট মাষ্টার ছাড়াই পরিচালিত হচ্ছে নেজামপুর রেলস্টেশনটি। এতে করে হাজার হাজার টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার এবং ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। অন্যদিকে, স্টেশন প্লাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, টিকিট মাষ্টার না থাকায় টিকিট না কেটেই বেআইনি ভাবে ট্রেনে যাতায়াত করতে গিয়ে অনেক হয়রানির শিকার এবং অপমান হয়ে থাকি। নিজের কাছে টিকিট না থাকায়, ট্রেনে থাকা চেকাররা ধমক দিয়ে কথা বলেন, আবার বেশি ভাড়া আদায় করে থাকেন। বিনিময়ে টিকিট বা কোন কিছু ডকুমেন্টও দেওয়া হয় না আমাদের। এদিকে, কিছু যাত্রী অভিযোগ করে বলেছেন, ট্রেনগুলিতে কোঁচ কম থাকায়, ভীড় বেশির কারণে ট্রেনে উঠতে না পেরে ফেরত যেতে হচ্ছে আমাদের,
কারণ ট্রেনের কোঁচ মাত্র আড়াইটি কিন্তু যাত্রীর পরিমাণ অনেক বেশি। ট্রেনযাত্রীরা বলেন, টিকিট মাষ্টার নিয়োগ, ট্রেনের কোঁচ বাড়ানো এবং সকল ধরনের ট্রেন দাঁড়ানোর জন্য রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে আকুল আবেদন জানাচ্ছি। এবিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য মুহা. জিয়াউর রহমানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে, তিনি দেশের বাইরে থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে পাকশি রেলওয়ের বাণিজ্যিক অফিস সহকারী কর্মকর্তা নুর আলমের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমাদের লোকবল সংকটের কারণে নেজামপুর রেলস্টেশনে টিকিট মাষ্টার পদটি শূন্য রয়েছে।