নাটোরের লালপুর উপজেলায় স্কুলছাত্রীকে অপহরণের পরে ধর্ষণের দায়ে এক যুবককে ৪৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। এ ছাড়া মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন দুইজন। সোমবার নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহীম আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।দণ্ড পাওয়া মো. সাব্বির আলী (২৩) উপজেলার অমরপুর এলাকার মো. আব্দুল মান্নানের ছেলে। খালাস পাওয়ারা হলেন- সাব্বির আলীর বাবা আব্দুল মান্নান এবং ওই এলাকার প্রয়াত আবু তাহেরে ছেলে মো. মুক্তার হোসেন।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) মো. আনিসুর রহমান বলেন, স্কুল যাওয়ার পথে ওই ছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দিত সাব্বির আলী। মেয়েটি রাজি না হওয়ায় সাব্বিরের বাড়ি থেকে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়। এতে ওই ছাত্রীর পরিবার রাজি না হলে তাকে অপহরণের হুমকি দেওয়া হয়।
২০২০ সালের ১৯ নভেম্বর ওই ছাত্রীর বাবা-মা চিকিৎসার জন্য রাজশাহী গেলে পরদিন রাত ১০টার দিকে তাকে মোটরসাইকেলে করে তুলে নিয়ে যান আসামি ও তার সহযোগীরা। পরে ভিকটিমকে প্রাণনাশের ভয় দেখিয়ে ঢাকায় নিয়ে জোর করে বিয়ে করেন সাব্বির। তখন ভিকটিমের বয়স ছিল ১২ বছর। পরে হত্যার ভয় দেখিয়ে ভাড়া বাসায় রেখে ওই ছাত্রীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন সাব্বির। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে লালপুর থানায় অপহরণের মামলা করেন। তদন্ত শেষে লালপুর থানার এসআই মো. রেজাউল ইসলাম এবং মো. হূমায়ুন কবির ২০২১ সালের ৫ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ (সংশোধিত/২০০৩) এর ৯ (১) ধারায় সাব্বির আলীকে যাবজ্জীবন ও ৩০ হাজার টাকা জরিমানা এবং ৭ ধারায় ১৪ বছরের কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।