চুয়াডাঙ্গায় আম পাড়ার মধ্যে দিয়ে শুরু হলো মধু মাস। প্রসাশনের বেঁধে দেয়া সময়সুচি অনুযায়ী গুটি ও বোম্বাই জাতের আম পাড়তে শুরু করেন বাগান মালিকেরা। তবে আম ভালোভাবে পরিপক্ক না হওয়ায় সব বাগানে আম পাড়া শুরু হয়নি। বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড.কিসিঞ্জার চাকমা পৌর এলাকার কলেজপাড়ার একটি আমবাগানে আম পাড়ার মধ্যে দিয়ে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা’র সভাপতিত্বে আয়োজনে আরও উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আফরিন বিনতে আজিজ, দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন আক্তার, জেলা বিপণন কর্মকর্তা রাশেদুজ্জামান, জেলা আম ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস মহলদার, জেষ্ঠ্য সহ-সভাপতি কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল করিম বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম প্রমুখ। চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ মৌসুমে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় ৭২০ হেক্টর, আলমডাঙ্গা উপজেলায় ২২০ হেক্টর, দামুড়হুদা উপজেলায় ৭৩৯ হেক্টর ও জীবননগর উপজেলায় ৬২৫ হেক্টর জমিতে আম বাগান আছে। এতে আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩০ হাজার ৮১০ মেট্রিক টন। এর আগে ১৩ মে চুয়াডাঙ্গায় গাছ থেকে আম পাড়ার ক্যালেন্ডার ঘোষণা করা হয়। সেই অনুযায়ী ১৬ মে আঁটি, গুটি ও বোম্বাই জাতের, ২৪ মে হিমসাগর, ৩০ মে থেকে ল্যাংড়া, ১০ জুন আম্রপালি(বারি আম-৩), ১৫ জুন ফজলী জাতের ও ১ জুলাই আশ্বিনা (বারি-৪ জাতের) আম সংগ্রহ করা হবে। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা জানান, এ জেলায় উৎপাদিত আম অত্যন্ত ভাল মানের। সে কারনে আম পাড়ার ক্ষেত্রে যথাযথ নিয়ম মানতে হবে। উৎপাদিত গুণগত মানের আম বিদেশে রফতানীর ক্ষেত্রে দৃষ্টি দেয়া জরুরী। এ জেলার আম ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে অন্য কোন জেলা থেকে অপরিপক্ক আম ঢুকতে দেয়া হবে না। এছাড়া আম বাজারজাতকরণের ক্ষেত্রেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কোন অবস্থাতে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে অপরিপক্ক আম পাড়া এবং পাকানো ও সংরক্ষণের জন্য কোন রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করা যাবেনা। তাছাড়া অবৈধ প্রক্রিয়ায় আম পাকানো হলে বা পাকানোর উদ্দেশ্যে মজুদ করা হলে ‘ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯’ এবং ‘নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩ অনুয়ায়ী যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।