ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীমকে (আনার) হত্যার ঘটনা তদন্তে ভারতীয় সিআইডি’র তিন সদস্যের টিম ঢাকায় এসেছেন। বৃহস্পতিবার (২৩ মে) সকালে কলকাতা সিআইডি প্রধানের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের তদন্তকারী দল হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নেমে ভারতীয় দূতাবাসে প্রবেশ করেন। পরে ভারতীয় দূতাবাস থেকে মহানগর গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানের সাথে যোগাযোগ করা হয়। দুপুরের পর ডিবি প্রধান হারুনুর রশিদের সাথে বৈঠকে বসার কথা রয়েছে তদন্তকারী দলের। ডিবি প্রধান হারুনুর রশিদ জানান, ভারতীয় দূতাবাস থেকে ভারতীয় টিম আসার খবরটি তাদের জানানো হয়েছে। এমপি আনোয়ারুল আজিম হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন ও হত্যাকারীদের ধরতে ভারতীয় তদন্ত সংস্থা সিআইডি ও ঢাকার ডিবি পুলিশ যৌথভাবে কাজ করছে। দুপুরের পর তাদের সাথে বৈঠক করে তাদের কাছে পাওয়া এভিডেন্স নিয়ে আলোচনা হবে।
এমপি আনার হত্যা মামলার তদন্তের দায়িত্বপ্রাপ্ত গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার আব্দুল আহাদ জানিয়েছেন, সিআইডির প্রতিনিধিরা এখন ঢাকায় ভারতীয় দূতাবাসে অবস্থান করছেন। তারা দুপুরের পর আমাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। তবে সময়টি এখনো নির্ধারণ করা হয়নি।
গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বেশকিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। দুই দেশের নাগরিকরা হত্যায় অংশ নিয়েছিলেন। পুরো বিষয়টি তদন্তের জন্য ভারতীয় পুলিশের একটি স্পেশাল টিম তদন্তের জন্য ঢাকায় এসেছে।
গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনার গেদে সীমান্ত দিয়ে ভারতে যান এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার। তিনি পশ্চিমবঙ্গে বরাহনগর থানার মণ্ডলপাড়া লেনে গোপাল বিশ্বাস নামে এক বন্ধুর বাড়িতে ওঠেন। পরদিন ডাক্তার দেখানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকেই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন আনোয়ারুল আজীম।
বাড়ি থেকে বের হওয়ার পাঁচদিন পর গত ১৮ মে বরাহনগর থানায় আনোয়ারুল আজীমের নিখোঁজের বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন বন্ধু গোপাল বিশ্বাস। এরপরও খোঁজ মেলে না তিনবারের এই সংসদ সদস্যের। বুধবার হঠাৎ খবর ছড়ায় কলকাতার পার্শ্ববর্তী নিউটাউন এলাকায় বহুতল সঞ্জীবা গার্ডেনস নামে একটি আবাসিক ভবনের বিইউ ৫৬ নম্বর রুমে আনোয়ারুল আজীম খুন হয়েছেন। তবে সেখানে তার মরদেহ মেলেনি। আনোয়ারুল আজীম আনার ভারতে খুন হওয়ার ঘটনায় রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় একটি অপহরণের মামলা হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় মামলাটি করেন তার মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন