গাইবান্ধার পলাশবাড়ি খাদ্য গুদাম থেকে ১’শ ৯৯ মেট্রিক টন চাল ও গম গায়েব হয়ে গেছে। বিভাগীয় তদন্তের পর এঘটনায় পলাশবাড়ি থানায় খাদ্য গুদাম কর্মকর্তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার পর থেকে খাদ্য কর্মকর্তা কর্মস্থল থেকে চম্পট দিয়েছেন। গাইবান্ধা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস জানায়, পলাশবাড়ি খাদ্য গুদামের দায়ীত্বে কর্মকর্তা ছিলেন আব্দুল্লাহ মাসুম সিদ্দিকী। গাইবান্ধার জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নিয়মিত পরিদর্শনের সময় গত ২০ অক্টোবর ১৯৯ মেট্রিক টন চাল ও গমের বস্তার ঘাটতি দেখতে পান। যার মুল্য ১ কোটি ২৯ লাখ ৪৩ হাজার টাকা। ঘটনার পর তিনি গত ২১ মে ভারপ্রাপ্ত খাদ্য কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ মাসুম সিদ্দিকীকে ষ্ট্যান্ড রিলিজ করেন। পরে ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত টীম গঠন করে ঘটনার সত্যতা খুঁজে পাওয়ায় অভিযুক্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ৪ জুলাই উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বাদী হয়ে পলাশবাড়ি থানায় অভিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ মাসুম সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। গাইবান্ধা সদর সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রক শাকিব রেওয়ানকে আহবায়ক করে চার সদস্েযর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, জেলা সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আবু হেনা মোস্তফা কালাম, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুস সোবহান ও গাইবান্ধা খাদ্য পরিদর্শক আল আউয়াল। উক্ত কমিটির সদস্যরা চাল, গম ও বস্তুা উধাওয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ওই পরিমান খাদ্যশস্য ও সামগ্রী তছরুপ করা হয়েছে।
এব্যাপারে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো.মিজানুর রহমান বলেন, সম্প্রতি খাদ্য বিভাগের মহাপরিচালক এক আদেশে ওসিএলএসডি আব্দুল্লাহ আল মামুন সিদ্দিককে স্ট্যান্ড রিলিজ করে সিলেট বিভাগে যোগদানের নির্দেশ দেন। গত ১৯ মে তার কর্মস্থলে যোগদানের কথা। মামলার পর থেকে তিনি কর্মস্থল থেকে লাপাত্তা হয়েছেন। মামলাটি বর্তমানে তদন্তের জন্য দুদকে পাঠানো হয়েছে। পলাশবাড়ী থানার ওসি তদন্ত লাইসুর রহমান জানান, অভিযোগটি ইতিমধ্যে দূর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।