পবিত্র ঈদুল আজহা সামনে রেখে রাজধানীবাসীকে সচেতন করার লক্ষ্যে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) ৮টি নির্দেশনা প্রচার করছে। এর মধ্যে ঈদে নগরবাসী ও বাসাবাড়ির নিরাপত্তা নিশ্চিতে করনীয়সহ বিভিন্ন সচেতনতামূলক নির্দেশনা রয়েছে। ডিএমপির প্রচারিত নির্দেশনাগুলো হলো-১. ঈদে বাড়ি যাওয়ার আগে গ্যাস সিলিন্ডার অথবা গ্যাসের লাইন, পানির লাইন, সব ধরনের লাইট, ফ্যানের সুইচ, বৈদ্যুতিক প্লাগ বন্ধ করে বের হতে হবে। বাসা বাড়িতে অগ্নি-দুর্ঘটনা রোধে ছুটি শেষে বাড়ি থেকে ফিরে এসে দরজা জানালা খুলে ঘরে জমে থাকা গ্যাস বের না হওয়া পর্যন্ত কোনো অবস্থাতেই গ্যাসের চুলা জ্বালানো কিংবা বৈদ্যুতিক সুইচ অন করা যাবে না। ২. বাসা-বাড়িতে সিসি ক্যামেরা বসাতে হবে। পূর্বে বসানো সিসি ক্যামেরা সচল আছে কিনা পরীক্ষা করতে হবে। চোর রাতের বেলা বাসার পিছনের অংশ দিয়ে জানালা ভেঙ্গে চুরি করে। তাই বাসার পিছনেও সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে। ৩. বাসার চারপাশে বৈদ্যুতিক আলোর ব্যবস্থা রাখতে হবে। ৪. নগদ টাকা কিংবা স্বর্ণালংকার ব্যাংক কিংবা নিকটাত্মীয়দের কাছে নিরাপদে রাখতে হবে। ৫. রাতে কিংবা দিনে মাস্ক কিংবা ক্যাপ অথবা একসঙ্গে মুখে মাস্ক ও মাথায় ক্যাপ পরিহিত অপরিচিত সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের গতিবিধি নজরদারি করতে হবে। প্রয়োজনে ৯৯৯ এ ফোন দিতে হবে। ৬. মোটরসাইকেল চুরি রোধে এলার্ম লাগাতে হবে। এতে কেউ মোটরসাইকেল স্পর্শ করলেই এলার্ম বেজে উঠবে। লক করার কাজে স্টিলের তৈরি মেরিন অ্যাংকর চেইন ব্যবহার করতে হবে। মোটরসাইকেলে জিপিএস ট্র্যাকার লাগাতে হবে এবং চাকাতে উন্নত মানের ডিস্ক লক ব্যবহার করতে হবে। ৭. অপরিচিত কেউ কোন কার্ড কিংবা কাগজ দেখিয়ে কোনো ঠিকানা বা তথ্য জানতে চাইলে কিংবা রুমাল বা অন্য কোনো কিছু মুখের কাছে আনার চেষ্টা করলে সঙ্গে সঙ্গে মুখ সরিয়ে নিতে হবে এবং প্রয়োজনে আশেপাশের লোকজনের সাহায্য নিতে হবে। ৮. চোরেরা রাতে অন্ধকার থাকা বাসা সহজে শনাক্ত করে চুরির জন্য টার্গেট করে। এ বিষয়ে সতর্ক ব্যবস্থা নিতে হবে। এছাড়া শুক্রবার রাজধানীর মসজিদগুলোতে জুমার নামাজের খুতবার সময় ডিএমপির পক্ষ থেকে এসব নির্দেশনা প্রচার করা হয়।