চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের সোনামসজিদ স্থলবন্দর ১ নম্বর ওয়ার্ডে ১৮ অক্টোবর রাত ৮ টার দিকে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারামারি, হামলা, ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় শিবগঞ্জ থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দায়ের করেছে উভয়পক্ষ। মামলার বাদী আব্দুল জলিল বলেন, বালিয়াদিঘী মধ্যে বাজারে সোনামসজিদ স্থলবন্দর যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক জেম এর সাথে কাথাকাটাকাটি হয়, কথাকটাকাটির এক পর্যায়ে আমাকে মারধর শুরু করলে, আমি জীবন বাঁচানোর তাগিদে সেখান থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায়, পরবর্তীতে তারা আমাকে না পেয়ে, আসামী জেম, রয়েল, রুবেল, সজিব হ্যাসুয়া, কাতা, কুড়াল নিয়ে আমার বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করে আমার ঘরের সকল আসবাবপত্র টিভি, ফ্রিজ, ফ্যান, সোকেস ভেঙ্গে চুরমার করে দেয় এবং সোকেসে থাকা ৮৫ হাজার টাকাও তারা নিয়ে চলে যায়। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে চলে যায়। এঘটনায় থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছি। অপরদিকে মামলার আসামী ও বাদী জেম বলেন, আমি সোনামসজিদ স্থলবন্দর যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক হওয়ায়, সোনামসজিদ মধ্যে বাজার যুবলীগ অফিসে বসে ছিলাম, এমতাবস্থায় আমার প্রসাবের চাপ আসলে যুবলীগ অফিসের সামনে একটু দুরে গিয়ে প্রসাব করি, সেখানে পানি না থাকায় মাটি দিয়ে কুলুপ ধরে দাঁড়িয়ে থাকি, ঠিক সেই মূহুর্তে আসামী আব্দুল জলিল, মামুন মৌলভীসহ আরও অঙ্গতানামা ৩ থেকে ৪ জন পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আমাকে এসে বলে এই হিন্দুর বাচ্চা গালি দেয়। আসামী আব্দুল জলিল, মামুনসহ তাদের সঙ্গে থাকা লাঠিসোটা নিয়ে মারধর শুরু করে এবং আব্দুল জলিল একটি ইট দিয়ে আমার মাথায় আঘাত করে মাথা ফাটিয়ে দেয়। রক্ত বের হয়ে আমার শরীর ভিজে যায় এবং আমার কাছে থাকা ২৫ হাজার ৭০০ টাকাও কেড়ে নেয়। এঘটানয় শিবগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি। পাল্টাপাল্টি অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে, শিবগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ চৌধুরী জুবায়ের আহমেদ বলেন, গত রাতে বালিয়াদিঘি গ্রামের ঘটনায় দুই পক্ষই অভিযোগ দিয়েছে, তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।