আগামী কোরবানীর ঈদ উপলক্ষে চাঁপাইনবাবগঞ্জে অনেক পরিবার ও গবাদী পশু ফার্মে পশু পালন করা হচ্ছে। অনেক স্থানে দৃষ্টিনন্দন গরু-ছাগল প্রস্তুত করেছেন অনেক বাড়ির মালিক ও খামারীরা। এর মধ্যে জেলায় দৃষ্টিনন্দন ও চোখভোলানো ছাগল তৈরী হয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে বিভা এগ্রো ফার্মে। জেলার শিবগঞ্জে এই বিভা এগ্রো ফার্মে ১১০ কেজি ওজনের একটি ছাগল পালন করা হয়েছে। বাদামি রঙের ছাগলটি শিরোহী জাতের। প্রায় চার মাস বয়সে এ ছাগলটি ৫০ হাজার টাকায় কিনে এনেছিলেন খামারের মালিক। খামারটির মালিক শখ করে ছাগলটির নাম রেখেছেন বাদশা।
বিভা এগ্রো ফার্মের স্বত্বাধিকারী দুরুল ইসলাম। পেশায় তিনি চাকুরীজিবি। কৃষি খামারের উপর আগ্রহ থেকেই করেছেন একাধিক প্রজাতির খামার। খামারের শুরুতে কোয়েল পাখির ব্যবসা করে এলাকায় সাড়া ফেলেছিলেন বেশ। একনামে তাকে চিনে ওই উপজেলার ডিম বিক্রেতারা। চাকুরির সুবাদে ঢাকায় থাকায় কোয়েল পাখি আর টার্কি মুরগির ব্যবসা ছাড়তে হয়েছে দুরুল ইসলামকে।
দুরুল ইসলাম জানান, ২০ বছর ধরে চাকুরীর পাশাপাশি শখ থেকেই পশুপাখির ব্যবসা করি। শিবগঞ্জ উপজেলায় প্রথম টার্কি মুরগি আর কোয়েল পাখির ব্যবসা শুরু করি। বড় অঙ্কের টাকা খাটিয়ে লাভও হয়েছে কাঙ্খিত। মাসে দুই-আড়াই লাখ কোয়েল পাখির ডিম বিক্রি করতাম। বাড়িতে এখন ছাগলের খামার আছে। দেশী বিদেশী সব মিলিয়ে ৩০ থেকে ৩৫টি ছাগল আছে।
তাদের মধ্যে অন্যতম বাদশা নামের ছাগলটি। তিনি আরও বলেন, ৪ মাস বয়সে বিদেশী শিরোহী জাতের এ ছাগলটি খামারে নিয়ে এসেছিলাম। শখ করে নাম রেখেছি বাদশা। ছাগলটির বয়স এখন প্রায় দুই বছর হতে চলল। দাঁতও গজিয়েছে ৬টা। ছাগলটির উচ্চতা ৪০ ইঞ্চি। শেষ বার যখন মেপেছিলাম তখন ছাগলটির ওজন ছিল ১১০ কেজি। এখন ১১০ কেজি ওজনেরও বেশি হবে ছাগলটি। ছাগলটিকে খামারের ব্রিডারের (পাঠা) জন্য রাখা হয়েছে। বাদশার খোঁজ নিতে নিতে চোখে পড়লো রাজার। এ রাজা নামের ছাগলটিও শিরোহী জাতে।
ওজন কিন্তু কম নয়, ৬৫ কেজিরও বেশি। এ ছাগলটি কুরবানির জন্য প্রস্তত করছেন ওই খামারের স্বত্তাধিকারী। রাজাকে ডেকে ঘাস খাওয়াচ্ছিলেন খামার মালিকের পিতা বদিউজ্জামান। তিনি প্রতিবেদককে বলেন, রাজার বয়স এক বছর কেবল পার হয়েছে। তাকে গম, ছোলা আর ভুট্টা ভেঙ্গে খাওয়ানো হয়। এ ছাগলটির ওজন ৬৫ থেকে ৭০ কেজি হবে। বিভা এগ্রো ফার্মের স্বত্বাধিকারী দুরুল ইসলাম কুরবানির জন্য রাজা নামের ছাগলটির দাম হেকেছেন ৪০ হাজার টাকা।