নওগাঁ ব্যাটালিয়ন (১৬ বিজিবি) এর অধীনস্থ বাংগাবাড়ি বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার সীমান্ত পিলার-২০৪/এমপি এর নিকট বাংলাদেশ পার্শ্বে বিজিবি’র আহবানে নওগাঁ ব্যাটালিয়ন (১৬ বিজিবি) এবং ১২ ব্যাটালিয়ন বিএসএফ মধ্যে বিজিবি-বিএসএফ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ২৪ জুলাই সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত উক্ত পতাকা বৈঠকে ১২ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধি দলের প্রতিনিধিত্ব করেন নওগাঁ ব্যাটালিয়ন (১৬ বিজিবি) এর অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান, পিএসসি, জি এবং ১৩ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধি দলের প্রতিনিধিত্ব করেন ১২ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের এ্যাডহক কমান্ড্যান্ট শ্রী নরেন্দার পাল নেগি। পতাকা বৈঠকে বিজিবি এবং বিএসএফ এর পক্ষ হতে নিম্নবর্ণিত বিষয়ের উপর আলোচনা হয়। নওগাঁ ব্যাটালিয়ন (১৬ বিজিবি) অধিনায়ক কর্তৃক উত্থাপিত দাবীগুলো হচ্ছে-(১) ভারতীয় দুস্কৃতিকারী কর্তৃক অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে কাঁটা তারের বেড়া কর্তন, গবাদী পশু ও অন্যান্য মালামাল চোরাচালান।
(২) ভারতীয় নাগরিক কর্তৃক বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অবৈধভাবে গবাদি পশু ও হাঁস চড়ানো, মাছ শিকার করা। (৩) সমন্বিত যৌথ টহল পরিচালনা করা। (৪) চোরাচালান এবং অবৈধ কার্যকলাপ রোধে সময়মত তথ্য আদান-প্রদান করা। (৫) বিজিবি-বিএসএফ সমন্বিত টহল পূর্বের তুলনায় বৃদ্ধি করা। (৬) সীমান্ত পিলার-২১৯/৯-আর হতে ২১৯/১৭-আর এর নিকটবর্তী জঙ্গল এলাকা। বিএসএফ কর্তৃক উত্থাপিত পয়েন্ট সমূহঃ(১) বাংলাদেশী নাগরিক কর্তৃক জমি চাষাবাদের সময় সীমান্ত পিলার-২১৮/৫-এস ভাংগা এবং ক্ষতিগ্রস্থ করা। (২) চোরাচালান এবং অবৈধ কার্যকলাপ রোধে সময়মত তথ্য আদান প্রদান করা। (৩) বাংলাদেশী জেলারা রাত্রিকালীন সময় সীমান্তবর্তী এলাকায় বাংলাদেশ পার্শ্বে মাছ ধরা।
শেষে তিনি ঈইগচ অনুসারে কার্যপরিকল্পনা অনুসরণ করা এবং উভয় পক্ষের মধ্যে সৌহাদ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে সীমান্তের শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখা সম্ভব বলে অধিনায়ক, নওগাঁ ব্যাটালিয়ন (১৬ বিজিবি) ব্যক্ত করেন। অধিনায়ক, নওগাঁ ব্যাটালিয়ন এর উত্থাপিত পয়েন্টের উপর উভয় দেশের শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখা সম্ভব বলে উভয় পক্ষের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা সম্মতি জ্ঞাপন করেন। পরিশেষে, উভয় দেশের শান্তি ও মঙ্গল কামনা করে সৌহাদ্যপূর্ণ পরিবেশে পতাকা বৈঠক শেষ হয়।