নওগাঁর নিয়ামতপুরে শ্বশুড়, শাশুড়ী ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যের হাতে শওকেত আরা (৩০) নামে এক গৃহবধূকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার পর ঐ গৃহবধূর বাবা মঙ্গলবার সকালে নিয়ামতপুর থানায় বাদী হয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। থানায় লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার হাজিনগর ইউনিয়নের উপরকুড়া শালবাড়ীর গোলাম মোস্তফা তাঁর পুত্রবধূকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে মারাত্মকভাবে আহত করে। আহত গৃহবধূ বর্তমানে নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে। এ বিষয়ে নির্যাতিত গৃহবধূ পিতা উপরকুড়া শালবাড়ীর হযরত আলী এ প্রতিবেদককে বলেন, আমার মেয়ের তের বছর পূর্বে আমার নিজ গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে রবিউল ইসলামের সাথে বিবাহ হয়। বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন সময়ে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি গত ২ অক্টোবর বিকেল ৫টায় মোস্তফার ছেলে রুহুল আমীন, রনি, আমার মেয়েকে মারপিট করলে আমার মেয়ে মারাত্মকভাবে জখম হয় এবং পেটের বাচ্চা নষ্ট হয়ে যায়। এ বিষয়ে শিবপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে উভয় পক্ষকে ডেকে মিমাংশা করে দেয়।
গত ১৬ অক্টোবর আমার জামাই রবিউল ইসলাম আমার মেয়েকে নিয়ে চার্জার ভ্যান যোগে আমার বাড়ী থেকে নিজ বাড়ীতে গেলে রুহুল, শাকিম, রনি, নূরুল, তাহসিনা, আইরিন, বেলেনুর দলবদ্ধ হয়ে আমার মেয়েকে এলোপাতাড়িভাবে মারপিট শুরু করে। এতে আমার মেয়ে মারাত্মকভাবে আহত হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। আমার জামাই রবিউল ইসলাম স্ত্রীকে রক্ষা করতে গেলে তাকেও মেরে আহত করে। আমার মেয়ে নিয়ামতপুর হাসপাতালে অজ্ঞান অবস্থায় ভর্তি রয়েছে। বিবাদীরা এখনও আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছে। আজ হোক কাল হোক আমাকে ও আমার মেয়েকে মেরেই ফেলবে। এ বিষয়ে নিয়ামতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মাইদুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।