ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের উপকূল দিয়ে বঙ্গোপসাগর থেকে স্থলে উঠে আসার একদিন পর ঘূর্ণিঝড় মিগযাউম দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরের দিকে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিয়ে অন্ধ্রের সৈকত শহর বাপালার নিকটবর্তী উপকূল দিয়ে স্থলভাগে উঠে আসে মিগযাউম, এরপর রাজ্যটিতে ব্যাপক বৃষ্টি ঝড়িয়ে দুর্বল হয়ে পড়ে বলে জানিয়েছে ভারতের আবহাওয়া বিভাগ। ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে প্রতিবেশী রাজ্য তামিলনাডুর প্রধান শহর চেন্নাইয়ে প্রবল বৃষ্টি হয়। এতে নগরীটিতে ব্যাপক জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে বন্যার রূপ নেয়। স্থবির হয়ে পড়ে নগরীর জনজীবন। ভারতীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, চেন্নাইয়ে বৃষ্টিজনিত বিভিন্ন দুর্ঘটনায় ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে নগরীটি মিগযাউমে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর একটিতে পরিণত হয়েছে। বৃহত্তর চেন্নাই পুলিশ জানিয়েছে, ১০ জন ডুবে মারা গেছে, আর বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েও বেশ কিছু মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি উপকূল অতিক্রম করে উত্তর দিকে যাওয়ার পথে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়, বহু গাছ উপড়ে পড়ে আর অন্তত ২৫টি গ্রাম জলোচ্ছ্বাসে ডুবে যায়। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দেয়াল ধ্বসে চার বছর বয়সী এক বালকসহ এখানে অন্তত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজ্যটিতে ১৪০টি ট্রেন ও ৪০টি ফ্লাইটের সূচি বাতিল করা হয়েছে। বৃহত্তর চেন্নাই কর্পোরেশনের কমিশনার ডিআর জে রাধাকৃষ্ণান জানিয়েছেন, বন্যাকবলিত বেশ কয়েকটি নিচু এলাকা থেকে পাম্পযোগে পানি বের করে দেওয়া হচ্ছে, খাবার ও ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। এই এলাকাগুলোতে জাতীয় দুর্যোগ মোকাবেলা বাহিনীর অতিরিক্ত টিম ও ৩০০ নৌকা মোতায়েন করা হয়েছে। চেন্নাইয়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বুধবারও বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়।