পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিনটিকে স্মরণীয় রাখতে মহানগরীতে বর্ণাঢ্য নানা আয়োজন করা হয়েছে। শনিবার সকাল ৯টায় রাজশাহীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাস, ট্রাক, ট্রেনসহ নানা যানবাহনে হাজার হাজার মানুষ একত্রিত হন মহানগীর কামারুজ্জামান চত্বরে। এরপর বাদ্য বাজিয়ে শুরু হয় শোভাযাত্রা। শোভাযাত্রাটি মহানগীর বিভিন্ন প্রান্ত ঘুরে জেলা মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি স্টেডিয়ামে এসে শেষ হয়। পরে স্টেডিয়ামে বড় পর্দায় সেতুর উদ্বোধন দেখার পাশাপাশি দোয়া অনুষ্ঠানে অংশ নেন হাজারো মানুষ। এতে অংশ নেন বিভাগীয় প্রশাসন, জেলা প্রশাসন, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। প্রধানমন্ত্রীর সেতু উদ্বোধনের পর মিষ্টিমুখ করেন অংশগ্রহণকারীরা। তারা বলেন, পদ্মা সেতু শুধু একটি বিশেষ অঞ্চলেরই নয়, এটি সমগ্র দেশের উন্নয়নের প্রতীক। বাঙালির দীর্ঘ সময়ের ‘স্বাপ্নিক সেতু’ এখন ‘দৃশ্যমান বাস্তব’। জাতির আত্মমর্যাদার প্রতীক ‘পদ্মা সেতু’র উদ্বোধনকে ঘিরে উৎসাহপূর্ণ অপেক্ষা, অবশেষে অবসান হলো। সবার হৃদয় আনন্দে উদ্বেলিত হয়। রাজশাহী জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল জানিয়েছেন, পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের অনুষ্ঠান জাঁকজমকপূর্ণভাবে উদযাপন করা হচ্ছে রাজশাহীতে। দিনের মূল অনুষ্ঠান ছাড়াও রাতে আরও নানা কর্মসূচি রয়েছে। রাজশাহী জেলা মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়াম থেকে স্বপ্নের পদ্মা সেতু পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের মূল অনুষ্ঠান ভার্চ্যুয়ালি উপভোগ করেন রাজশাহীবাসি।