যমুনা নদীর পানি বেড়ে বন্যার কারণে বগুড়ার ৩ উপজেলার প্রায় ৫৩ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এসব পানি প্রবেশ করেছে। এর মধ্যে ৪৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সাতটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও একটি মাদ্রাসা রয়েছে। বগুড়া জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হযরত আলী বলেন, সোনাতলা ও সারিয়াকান্দী উপজেলায় একটি মাদ্রাসাসহ মোট আটটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বন্যার পানি প্রবেশ করায় সেগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
আর সোনাতলা, সারিয়াকান্দী ও ধুনট উপজেলায় মোট ৪৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে বলে জেলা সরকারি প্রাথমিক কর্মকর্তা রেজওয়ানুর হোসেন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এসব স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে শিক্ষকদের প্রতিদিন স্কুলের খোঁজখবর নিতে হবে, নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বন্ধ ঘোষণা করা ৫৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোথাও হাঁটু এবং কোথাও কোমর পানি উঠেছে। অনেক শিক্ষার্থী পানিবন্দি হয়ে পড়ার কারণে পরিবারের সঙ্গে অন্য জায়গায় গিয়ে থাকছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে কোমর পানি। গ্রামের ঘরগুলো অর্ধেক পানির নিচে ডুবে আছে। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিসের তথ্য অনুযায়ী, সারিয়াকান্দী, সোনাতলা ও ধুনট উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের ৮০ হাজার মানুষ এখনও পানিবন্দি। বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সুত্র জানায়, ২৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি ২ সেন্টিমিটার কমলেও এখনও বিপৎসীমার ৫৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।