মানুষের জানমাল রক্ষা ও বিশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে সরকারের জারি করা কারফিউ ৬ষ্ঠ দিনের মতো চাঁপাইনবাবগঞ্জেও অব্যাহত ছিলো। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল করা হয় জেলায়। এদিকে, অফিস ও ব্যাংক খোলা ছিলো বুধবার বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত। অনেকটায় স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে জনজীবন। যাতায়াত করছে দূরপাল্লার বাসও। তবে, এখন পর্যন্ত জেলায় কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে, নাশকতা ও কোটা আন্দোলনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে থানা পুলিশের অভিযানে জেলায় মোট ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে সদর মডেল থানা পুলিশের হাতে ১ জন, গোমস্তাপুর থানা পুলিশের হাতে ২ জন, নাচোল থানা পুলিশের হাতে ২ জন গ্রেফতার হয়। গ্রেফতারকৃতরা সকলেই বিএনপি-জামায়াতের কর্মী। চাঁপাইনবাবগঞ্জে বৃহস্পতিবার কারফিউ জারির ৬ষ্ঠ দিনেও সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল লক্ষ্য করা গেছে। জেলা শহরের বিশ্ব রোড মোড়সহ বিভিন্ন মোড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে। চাঁপাই-সোনামসজিদ মহাসড়কে সেনা-বিজিবি, পুলিশ-র্যাব সদস্যদের একটি গাড়ি বহর টহল দিতে দেখা যায়। দীর্ঘ সময় কারফিউ শিথিল হওয়ায় জেলা শহরের শহীদ সাটু হল মার্কেট, শিল্পকলা মার্কেট,
নিউমার্কেট, ক্লাস সুপার মার্কেট, ডিসি মার্কেট, পুরাতন বাজারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মার্কেটগুলো খোলা ছিলো। বন্ধ রয়েছে ট্রেন চলাচল। এদিকে, ছোট বড় যানবাহনে (অটো রিক্সা, সিএনজি, অটো বাইক, রিক্সা ও মোটরসাইকেল) মানুষ জরুরী কাজে বের হচ্ছেন। তবে, অন্যান্য দিনের চেয়ে বৃহস্পতিবার বেশী সংখ্যক লোকজনকে বাইরে বের হতে দেখা গেছে। খোলা ছিলো ঔষধের দোকান, খাবারের দোকান, হাসপাতাল, ক্লিনিকসহ জরুরী সেবা প্রতিষ্ঠানগুলো। এদিকে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে কয়েকজন বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মেহেদী হাসান জানান, সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মোট ১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গোমস্তাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ চৌধুরী জোবায়ের আহাম্মদ জানান, গোমস্তাপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নাচোল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ তারেকুর রহমান জানান, নাচোল উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মোট ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।