নাটোরের বড়াইগ্রামে রুবি খাতুন (৪০) নামে এক গৃহবধুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। অনেকের ধারাণ, আনারস ও দুধ খেয়ে বিষক্রিয়ায় তার মৃত্যু হয়েছে, আবার কেউ বলছে স্বামীর মারপিটে মারা গেছে। তবে লাশ উদ্ধার করে নিহতের স্বামীকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) পুলিশ নিহতের লাশ মর্গে পাঠিয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) দিবাগত মধ্যরাতে তার মৃত্যু হয়। নিহত রুবি খাতুন উপজেলার চান্দাই ইউনিয়নের সাতইল গ্রামের আসাদুল ইসলাম মোল্লার স্ত্রী। বুধবার (২৪ জুলাই) দিনভর নানামুখী তদন্তের পর সন্ধ্যায় লাশ উদ্ধারসহ স্বামী আসাদুল মোল্লাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। জানা যায়, মঙ্গলবার রাত দুইটার দিকে গুরুতর অসুস্থ রুবি খাতুনকে অটোভ্যানে করে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিলেন তার ছেলেরা। পথে নাটোর-পাবনা মহাসড়কে টহল পুলিশ তাদের থামালে তারা অসুস্থতার কারণ নিয়ে একেক জন একেক রকম তথ্য দেন। পরে পুলিশের সহায়তায় স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে নিহতের ছেলে আশিক ইসলাম ইসলাম জানান, নানার বাড়ি থেকে ওয়ারিশ সুত্রে পাওয়া জমি বিক্রি করে টাকা আনার জন্য তার বাবা বিভিন্ন সময় রুবি খাতুনকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করতেন। মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকেও এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তার বাবা তার মাকে মারধর করে। পরে তার মা অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান। অপরদিকে, নিহতের স্বামী আসাদুল মোল্লা জানান, সন্ধ্যায় তার স্ত্রী আনারস খাওয়ার কিছু সময় পরে দুধ পান করে। এতে বিষক্রিয়ায় তার স্ত্রী মারা গেছেন। বড়াইগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ শফিউল আযম খান জানান, নিহতের স্বজনরা কখনও বলছেন আনারস ও দুধ খেয়ে বিষক্রিয়ায় মারা গেছে, আবার কখনও বলছে স্বামীর মারপিটে মারা গেছে। তবে থানায় কেউ কোন লিখিত অভিযোগ করেননি। নিহতের লাশের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে তার মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।