নাটোরের দিঘাপাতিয়া এম.কে কলেজে বিধি বর্হিভৃতভাবে দীর্ঘদিন ধরে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালনের অভিযোগ উঠেছে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কৃষিবিদ আমজাদ হোসেনের বিরুদ্ধে। একই কলেজের দর্শন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আব্দুল হাই সিদ্দিক এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে কলেজের সভাপতি ও নাটোরের জেলা প্রশাসক আবু নাসের ভূঁঞার কাছে লিখিত আবেদন করেছেন।
গত রোববার দেয়া আবেদনে বলা হয়েছে, দিঘাপাতিয়া এম.কে অনার্স কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক অবসরে যান ২০২১সালের ৬ নভেম্বর মাসে। পেক্ষিতে পদটি শুন্য হয়। তখন থেকেই বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আমজাদ হোসেন দায়িত্ব পালন করছেন। নিজের সুবিধার জন্য তিনি নিয়মিত অধ্যক্ষ নিয়োগ ও নিয়মিত কমিটিও গঠন করছেন না।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধান অনুযায়ী এক বছরের বেশি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালনের নিয়ম না থাকলেও প্রায় আড়াই বছর থেকে তিনি দায়িত্ব পালন করছেন। ২০২১ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় কেন্দ্র সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় অনিয়মের কারণে চার বছরের জন্য তাকে পরীক্ষা সংক্রান্ত সকল কাজ থেকে বিরত রাখার সিন্ধান্ত নেয়া হয়। তারপরও তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি পরীক্ষাসহ সকল পরীক্ষায় কেন্দ্র সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কলেজের দাতা সদস্য আব্দুস সোবহান সরদার যোগসাজশ করে নিজের সুবিধার জন্য ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের সকল অনিয়মের সাথে তাল মেলাচ্ছেন। এসকল বিষয়ে জানতে চাইলে দিঘাপাতিয়া এম.কে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কৃষিবিদ আমজাদ হোসেন বলেন, তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী দায়িত্ব পালনের এক বছর পূর্ণ হওয়ায় শাহজাহান আলম নামে এক শিক্ষককে চলতি দায়িত্ব দিয়ে নতুন রেজুলেশনের অপেক্ষায় রয়েছেন। রেজুলেশনের পর আবার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। পরীক্ষার দায়িত্বও শাহ মোহাম্মদ আব্দুল লতিফ নামে আরেক শিক্ষককে দেয়া হয়েছে। মামলা জটিলতার কারণে নিয়মিত অধ্যক্ষ নিয়োগ দিতে পারছেন না বলেও তিনি দাবী করেন। বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে নিয়মিত অধ্যক্ষ নিয়োগ করে সকল অনিয়ম দূর করবেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এমনটায় আশা করছেন কলেজ সংশ্লিষ্টরা।