কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সহিংসতা ও পরবর্তী সময়ে দেশব্যাপী কারফিউ এর কারনে গত কয়েকদিনে চাঁপাইনবাবগঞ্জের কানসাট আম বাজারে বিরুপ প্রভাব পড়ার কারণে আমের বাজারে ধ্বস নেমেছিলো, তা কাটতে শুরু করেছে। সরকার কর্তৃক সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল ঘোষণা করায় দেশের বৃহৎতম আমের বাজার কানসাটে গত দুদিন থেকে আবারো জমে উঠেছে কেনা-বেচা। ঢাকা চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ব্যবসায়ীরা আম কিনে পাঠাচ্ছেন। ফলে বেড়েছে আমের দাম। আমের রাজধানী খ্যাত কানসাটে এখন আমের ভরা মৌসুম, বাজারে ফজলি আম্বিনা, বারি ৪, রুপালীসহ নানা জাতের আম। এবার শুরু থেকেই প্রকৃতির বৈরিতায় আমের ফলন অনেকটায় কম এ জেলায়। তবে বাজারে মৌসুমের শুরু থেকেই আমের বাড়তি দাম থাকায়, আম বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীদের ফলন কম হওয়ায় কষ্ট অনেকটায় কাটিয়ে উঠেছেন। আম চাষী মিজানুর রহমান, ইব্রাহিম খলিল, আব্দুল খালেক, আব্দুল জাব্বার সহ অনেকেই জানান দেশব্যাপী চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলকে ঘিরে সহিংসতা ও পরবর্তী সময়ে কারফিউ এর কারনে গত সপ্তাহে দেশের সর্ব বৃহৎ আমের বাজার কানসাটে ব্যবসায়ীদের মাঝে দেখা দিয়েছিলো হতাশা। কমে গিয়েছিলো আমের দাম, অন্যদিকে, ব্যাংক বন্ধ থাকায় লেনদেনে সমস্যায় পড়তে হয়েছিলো তাদের। তবে গত দুদিনে কারফিউ শিথিল হওয়ায় আবারো পূর্বের অবস্থায় ফিরেছে কানসাট আম বাজার। বেচাকেনা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে আমের দামও। কানসাট বাজারে আমবিক্রী করতে আসা বিশিষ্ট আম ব্যবসায়ী ও আমচাষী শ্যামপুর গ্রামের কলিমুদ্দিন-বলেন আজকে আমের দর খুব ভাল। ফজলী আম দাম মণ প্রতি ৪০০০ থেকে ৪৫০০ টাকা, আশি^না আম মণ প্রতি ১৩০০ থেকে ১৮০০টাকা, বারি ৪ মণ প্রতি ৩৫০০ থেকে ৪০০০ টাকা, রুপালী আম মণ প্রতি ৪৫০০ থেকে ৫০০০ টাকা। আম বিক্রেতা, ক্রেতা, ব্যবসায়ী ও আড়তদাররা জানান, পুরো বাজার ভরে আছে আম আর আমে। বাজার ছাপিয়ে আমের ভ্যানের সারি গিয়ে পৌছেছে মূল সড়কে কয়েক কিলোমিটার জুড়ে। আমের ট্রাক আর আমের ভ্যানের এ যাওয়া আসায় সড়ক জুড়ে প্রায় সময়ই লেগে থাকছে দীর্ঘ যানযট। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কারফিউ শিথিলের সময়সীমা সকাল ৬ টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত করায় যানচলাচলসহ জনবীবন অনেকটায় স্বাভাবিক। কানসাট আম বাজার আড়তদার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক গোলাম টিপু জানান, আমের দাম ভাল থাকলেও ব্যাংক বন্ধ থাকা ও ইন্টারনেট পুরাপুরি চালু না থাকায় অজুহাতে বড় বড় ব্যাপারীরা আম ব্যবসায়ী ও আম চাষীরা আম বিক্রী করেও টাকা না পাওয়ায় নানা ধরনের হয়রানীর শিকার হচ্ছেন। তবে কানসাট বাজারে সব ধরনের নিরাপত্তার ব্যবস্থা বিরাজ মান। যানজট নিরসনে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।