আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ভোলাহাটে চাহিদার অতিরিক্ত গবাদিপশু পালন হয়েছে। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ১হাজার ৩০টি খামারি ২হাজার ৪৫টি ষাঁড় প্রস্তত করেছেন। এছাড়া ৪১৩টি বলদ, ২হাজার ৬৮২টি গাভী, ৪টি মহিষ, ছাগল ৬হাজার ৯৫৮টি, ভেড়া ৯৯৭টি সর্বমোট ১৩হাজার ৯৯টি গবাদিপশু কোরবানীর জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তবে ভোলাহাট উপজেলায় মোট উৎপাদনের গবাদিপশুর চাহিদা রয়েছে ৮হাজার ৫৫০টি এবং অতিরিক্ত থাকবে ৪ হাজার ৫৪৯টি। এদিকে, গবাদিপশুর উৎপাদন বেশী হলেও বাজারে গিয়ে উচ্চ দামের কারণে অনেকেই খালি এখনও কোরবানীর পশু কিনতে পারেন নি। বিক্রেতারা বলছেন, যথাযথ দাম না পাওয়ায় পশু ফিরিয়ে নিয়ে যেতে হচ্ছে। তবে ভোলাহাট উপজেলার একমাত্র গোহালবাড়ীর হাট রবিবার ও বৃহস্পতিবার (সপ্তাহে দুই দিন) গবাদিপশু ক্রয় বিক্রয় হয়। এ হাটের ইজারাদার মোঃ কাউসার আলী বলছেন, ঈদ যত এগিয়ে আসছে গবাদি পশু তত বেশি কেনা বেচা বাড়ছে। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা মোঃ আব্দুল্লাহ জানান, ঈদুল আজহার জন্য ভোলাহাটে চাহিদাতিরিক্ত গবাদিপশু উৎপাদন হয়েছে। সাড়ে চার হাজার গবাদিপশু চাহিদার তুলনায় বেশি উৎপাদন হয়েছে। স্থানীয়ভাবে গবাদিপশু সংকট হবে না বলে নিশ্চিত করেন। এদিকে, উপজেলার একমাত্র গবাদিপশু কেনা-বেচা গোহালবাড়ী হাটে সরকার নির্ধারিত খাজনার চেয়ে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ করেছেন ক্রেতারা। খাজনা রশিদে টাকা সংখ্যা বসাচ্ছেনা ইজারাদার বলেও অভিযোগ উঠেছে।