সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে মাইক্রোবাস ও সিএনজি চালিত অটোরিকশা সংঘর্ষে চালকসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো দুইজন। রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে সিরাজগঞ্জ-নলকা আঞ্চলিক সড়কের ভদ্রঘাটে এসিআই ফুড কারখানার সামনে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার ভাটরা গ্রামের মৃত রমজান আলীর ছেলে নুরুজ্জামান (৫২), তার ছোটভাই তারেক রহমান (৫২), রায়গঞ্জের হাট পাংগাসি গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে রাশেদুল ইসলাম, রেজাউল করিম এবং আব্দুল মজিদ নামে আরও দুই ব্যক্তি। নিহত রেজাউল করিম ও আব্দুল মজিদের বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি। কামারখন্দ ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যার হাউস ইন্সপেক্টর অপু কুমার মণ্ডল বলেন, সিরাজগঞ্জ থেকে নলকাগামী একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে সিরাজগঞ্জগামী একটি মাইক্রোবাসের কামারখন্দ উপজেলার ভদ্রঘাট ইউনিয়নের কুটিরচর এলাকায় মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছি। বাকিদের হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম ও জরুরি মেডিকেল অফিসার (ইএমও) ডা. লাবিব বলেন, দুর্ঘটনায় রেজাউল করিম ও আব্দুল মজিদ নামে দুজনকে এখানে আনা হয়েছিল। এদের মধ্যে একজনকে মৃত অবস্থাতেই আনা হয়েছিল এবং অপরজনকে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়ার সময় তিনি মারা যান। এঘটনায় গুরুতর আহত আরেকজনকে বগুড়া নেওয়া হয়েছে বলে শুনেছি। নিহত দুজনের মরদেহ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। কামারখন্দ থানার ওসি রেজাউল করিম জানান, সিরাজগঞ্জ থেকে নলকাগামী একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা সিরাজগঞ্জ-নলকা আঞ্চলিক সড়কের কামারখন্দ উপজেলার ভদ্রঘাট এসিআই মিলের সামনে পৌছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মাইক্রোবাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই চালক রাসেদুল, নুরুজ্জামান ও তারেক নিহত হন। আহত হন আরো চারজন। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আহতদের উদ্ধার করে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে আরো দুইজনের মৃত্যু হয়।