রহনপুর পৌর এলাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান নিমতলা। রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন এ জায়গাটি সবসময় জমজমাট থাকে। বিশেষ করে সন্ধ্যা হলে এলাকার বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ সেখানে আড্ডা জমায়। চায়ের দোকান কলাইয়ের রুটির দোকানসহ বিভিন্ন খাবারের দোকান প্রায় সারারাতই জমজমাট থাকে। আম মৌসুমে আমের বাজার পাশে থাকায় এখন রমরমা অবস্থা। দেখলে বোঝার উপায় নেই, শত শত মানুষের ভিড়ে কিছু অপরাধী ঘুরে বেড়াচ্ছে। পাশেই রয়েছে বিখ্যাত শান্তি পাড়া। আর এই শান্তি পাড়াকে ঘিড়েই অপরাধী চক্র রয়েছে সক্রিয়। শান্তি পাড়ার বিভিন্ন বাড়িতে চলে দেহ ব্যবসা ও মাদক কেনাবেচা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তির সাথে কথা বলে জানা গেছে, ওই পাড়ায় সাদ্দাম, রেহেনা, আকলিমা, আয়েশা, রেবিনা, আয়না, সুফিয়া, নাজমা, আফসানা এদের বাড়িতে অনৈতিক কার্যকলাপ চলে। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে পতিতারা এসে এখানে দালাল চক্রের মাধ্যমে দেহ ব্যবসায় যুক্ত হয়। এলাকার অনেক তরুণ যুবক দালালদের ফাঁদে পা দিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়ছে। এজন্য সঙ্কায় রয়েছে অভিভাবক মহল। দিনের বেলা হোক, আর সন্ধ্যার পরে হোক, ওইসব পতিতারা বিভিন্ন সাজে সজ্জিত হয়ে নিমতলা, রেলওয়ে স্টেশন চত্বর এলাকায় গ্রাহক সংগ্রহে ঘুরে বেড়ায়। শান্তি পাড়ার পাশে রয়েছে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মরণে ‘বদ্ধ ভূমি’। বদ্ধ ভুমির পাশে এবং রহনপুরের প্রাণকেন্দ্রে এমন অসামাজিক কার্যকলাপ চলতে থাকায় সুস্থ ও শান্তি প্রিয় মানুষদের চলাফেরায় দায় হয়ে পড়েছে। অসামাজিক কার্যকলাপ ও মাদক কেনাবেচা বন্ধ এবং উচ্ছেদের দাবিতে ইতিপূর্বে এলাকাবাসীর উদ্যোগে একাধিকবার মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল, সভা সমাবেশ হয়েছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এনিয়ে অনেক রিপোর্টও প্রকাশিত হয়েছে। তবুও এসব বন্ধে কার্যকরী কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। মাঝে মাঝে পুলিশি অভিযান চালিয়ে মাদকসেবী, মাদক বিক্রেতা, দেহ ব্যবসায় যুক্ত পতিতা ও দালালদের গ্রেফতার করলেও কিছুদিন পর জামিন নিয়ে বেরিয়ে এসে আবার পূর্বের পেশায় জড়িয়ে পড়ে। গোমস্তাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ দিলীপ কুমার দাস বলেন, ‘শান্তি’ পাড়ায় অসামাজিক কার্যকলাপ ও মাদক কেনাবেচার বিষয়টি আমাদের গোচরীভূত রয়েছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী প্রায় এখানে অভিযান পরিচালনা করে। অনৈতিক কার্যকলাপ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে ওসি বলেন, এবিষয়ে জোড়ালো অভিযান চালানো হবে এবং এগুলো বন্ধে প্রয়োজনীয় কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।