1. tohidulstar@gmail.com : sobuj ali : sobuj ali
  2. ronju@chapaidarpon.com : Md Ronju : Md Ronju
এক-দু ঘন্টার স্থলে ৭-৮ ঘন্টা চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যুতের লোডশেডিং শিডিউল বিপর্যয় ॥ গ্রাহক দূর্ভোগ চরমে - দৈনিক চাঁপাই দর্পণ
বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:০৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বৈষম্য বিরোধী শিক্ষার্থীদের আত্মত্যাগের মুল্য দিতে হবে- সকলের সহযোগিতায় দূর্ণীতি-অনিয়ম দূর করে মডেল জেলা হিসেবে গড়ে তুলতে চাই-জেলা প্রশাসক চাঁপাইনবাবগঞ্জে র‌্যাবের অভিযানে বিপুল পরিমান হেরোইন ও ১টি ওয়ানশুটার গান উদ্ধার জনবান্ধব পুলিশ যেন বাস্তবে হয় ॥ শুধু কাগজ-কলমে নয়-স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা চাঁপাইনবাবগঞ্জে গুম হওয়া আরিফ কে ফিরে পেতে এলকাবাসীর মানববন্ধন আগস্ট মাসে ৪৬৭ সড়ক দুর্ঘটনা ॥ ৪৭৬ জনের মৃত্যু পোরশায় ১৬ বিজিবি’র মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত ভোলাহাটে প্রণোদনার মাসকালাই বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ নওগাঁর পোরশায় নতুন ওসি’র যোগদান এইচএসসির ফল প্রকাশের সম্ভাব্য সময় সম্পর্কে যা জানা গেল চৌহালীতে প্রাথমিক শিক্ষকদের দশম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন

এক-দু ঘন্টার স্থলে ৭-৮ ঘন্টা চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যুতের লোডশেডিং শিডিউল বিপর্যয় ॥ গ্রাহক দূর্ভোগ চরমে

বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ২৪ জুলাই, ২০২২
  • ২৩১ বার পঠিত

এক-দু ঘন্টার স্থলে ৭-৮ ঘন্টা
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যুতের লোডশেডিং শিডিউল বিপর্যয় ॥ গ্রাহক দূর্ভোগ চরমে

চাঁপাইনবাবগঞ্জে লোডশেডিং শিডিউল বিপর্যয়ে গ্রাহক দূর্ভোগ চরমে। সামনে পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার ক্ষতিসহ জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী প্রতিটি এলাকায় দিনে এক ঘণ্টা করে ২ঘন্টা লোডশেডিং হওয়ার কথা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। লোডশেডিং দেয়ার যেন কোন সময় নেই। যখন ইচ্ছা, তখন। ঘন্টার লোডশেডিংয়ের বিপরীতে দিনে ৫-৭ ঘন্টা পর্যন্ত বিদ্যুত থাকছেনা। ফলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান ব্যাহত, বিভিন্ন অনলাইন আইটিজোন গ্রাহক সেবা, আবাদি জমিতে সেচ দেওয়াসহ জেলা সরকারি হাসপাতলের চিকিৎসা সেবাও ব্যাহত হচ্ছে। বিদ্যুৎ সরবারহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর দাবী, চাহিদার তুলায় বিদ্যুতের বরাদ্দ কম পাওয়ায় শিডিউল বিপর্যয় হচ্ছে। জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় লোডশেডিংয়ের কারণে আইটি প্লাটফর্ম গুলো অনলাইনে কাজ করতে পারছেনা। শহরের চেয়ে গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিং বেশি সময় ধরে হওয়ায় আবাদি জমি গুলোতে সেচ দিতেও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে কৃষকদের। এছাড়াও ২৫০ শয্যা সরকারি হাসপাতালে লোডশেডিংয়ের কারণে চিকিৎসাসেবা ব্যহত হচ্ছে। এছাড়াও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলোতে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার বাসিন্দা ফারুক আহমেদ বলেন, ‘দিনের মধ্যে ৭ থেকে ৮ বার বিদ্যুৎ যায়। আষাঢ় মাসেও ছিলোন বৃষ্টি। প্রচন্ড গরমে মানুষের নাজেহাল অবস্থা। এ অবস্থায় বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে জীবন দুঃসহ হয়ে পড়েছে। বিদ্যুৎ কখনও ৩০ মিনিট আবার কখনও এক-দুই ঘণ্টা পর্যন্ত আসেনা। রাতের বেলায় একাধিকবার বিদ্যুৎ যায়।’ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক বলেন, শ্রেনী কক্ষ গুলোতে একাধিক শিক্ষার্থী থাকায় ভ্যাপসা গরমে তারাও পড়াশোনায় মনযোগ দিতে পারছেনা। এতে করে পাঠদান ব্যহত হচ্ছে। লোডশেডিংয়ের ভোগান্তির বিষয়ে শিবগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা ফেরদৌস অনু বলেন; ‘ সরকার ঘোষণা করেছে দিনে এক ঘন্টা লোডশেডিং হবে। কিন্তু নেসকোর দেওয়া লোডশেডিংয়ের শিডিউলে লিখা আছে দিনে ২ ঘন্টা করে বিদ্যুৎ থাকবে না। কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য দিনে দুঘন্টা লোডশেডিং ব্যাপার না। কিন্তু দুঘন্টার জায়গায় দিনে ৫-৭ ঘন্টা পর্যন্ত লোডশেডিং হচ্ছে। যদি এতোক্ষন লোডশেডিং হয়, তাহলে ভাঁওতাবাজি করে শিডিউলে দুই ঘন্টা লোডশেডিংয়ের কথা উল্লেখ না করলে পারতো নেসকো।’ ঘনঘন লোডশেডিং হওয়ার কারণে জেলার বড়বড় আইটিজন গুলোতে অনলাইনের কাজে বিঘ্নিত হচ্ছে। সারোয়ার জাহান নামের একজন বলেন; ‘ মনযোগ সহকারে অনলাইনে কাজ করছি, হঠাৎ লোডশেডিং। গ্রাহকের কাজ মাঝপথে আটকে যাওয়ায় শ্রমের মজুরি পাচ্ছিনা। লোডশেডিংয়ের সময় দীর্ঘ হওয়ায় যে গ্রাহক গুলো অনলাইনে কাজ করতে আসছে, বিরক্তবোধ করছে। বিদ্যুৎ না থাকার ফলে তারাও যথা সময়ে কাঙ্খিত সেবা পাচ্ছে না।’ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় এবার ৫২ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষাবাদের লক্ষমাত্রা ধরেছে কৃষিবিভাগ। রোপা আমন ধানের চাষাবাদের শুরু দিকে তীব্র ক্ষরার কারণে জমি প্রস্তত করতে দেরি হয়েছে। জেলায় চলতি বছরের জুন মাসে ৭৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। কিন্তু জুলাইয়ে গত জুন মাসে অর্ধেক বৃষ্টিপাতই হয়নি। ইতোমধ্যে ধান আবাদের জন্য কৃষকরা মাঠ প্রস্তত করতে গেলে লোডশেডিংয়ের কারণে সেচ দিতে ভোগান্তি পহাতে হচ্ছে। মুনিরুল ইসলাম নামের এক কৃষক বলেন; পল্লি বিদ্যুতের অসহনীয় লোডশেডিংয়ের কারণে জনজীবন তো অস্বস্তিতে আছেই। এখন ধানি জমি প্রস্তত করতে গিয়েও লোডশেডিংয়ের প্রভাব পড়েছে। বিদ্যুত না থাকায় জমিতে সেচ দিতে গিয়েও বিপাকে পড়তে হচ্ছে কৃষকদের। শুধু ধানে না, অনান্য মৌসুমে ফসলেও সেচ দিতে ভোগান্তি পহাতে হচ্ছে আমাদের। লোডশেডিংয়ের প্রভাব পড়েছে জেলার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতলেও। এতে করে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগী ও রোগীর স্বজনদের চরম বিপাকে পড়তে হচ্ছে। আতিকুল্লাহ আরিফ নামের এক রোগীর স্বজন বলেন; ‘ আমার স্বজনকে নিয়ে রাতের বেলায় হাসপাতলে গেছি। হঠাৎ লোডশেডিং। এত বড় হাসপাতলে জেনারেটরও নাই। ভ্যাপসা গরমে সময় পার করতে হয়েছে। হাসপাতলে আসা রোগীসহ রোগীর স্বজনদের নাজেহাল অবস্থা। হাসপাতলের নার্সরাও মোবাইলের টর্চ লাইট জ্বালিয়ে বাচ্চা ডেলিভারি করছে।’ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতলের তত্বাবধায়ক ডা. মাসুদ পারভেজ বলেন; ‘হাসতাপালে জেনারেটর আছে। জেনারেটরের ব্যাটারীর সমস্যা থাকায় সাময়িক বিদ্যুৎসেবা বন্ধ ছিল। নেসকোর বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আলিউল আজিম বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় নেসকোর গ্রাহকদের চাহিদা আছে ৩৬ মেগাওয়াট। কিন্তু চাহিদার তুলনায় কম বিদ্যুৎ বরাদ্দ পাওয়ায় লোডশেডিং করতে হচ্ছে। সরকারিভাবে এক ঘণ্টা করে লোডশেডিং করার কথা থাকলেও আমরা সেই কথা রাখতে পারারছি না। আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। শিবগঞ্জ উপজেলা নেসকোর নির্বাহী প্রকৌশলী জুলফিকার আলী বলেন; শিবগঞ্জ উপজেলায় নেসকোর গ্রাহকের চাহিদা ৬ মেগাওয়াট। কিন্তু আমরা গ্রাহককে দিতে পারছি মাত্র ৩ মেগাওয়াট। চাহিদার তুলনায় কম বিদ্যুৎ বরাদ্দ পাওয়ায় লোডশেডিং করতে বাধ্য হচ্ছি। চাঁপাইনবাবগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে আমরা চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ বরাদ্দ অনেক কম পাচ্ছি। সরবরাহ কম থাকায় বিভিন্ন এলাকায় লোডশেডিং দেয়া হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
Copyright All rights reserved © 2024 Chapaidarpon.com
Theme Customized BY Sobuj Ali
error: Content is protected !!