চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটে ‘কাগজ যার জমি তার’ শ্লোগানে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে এলাকাবাসী। সোমবার (১৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে দশটায় মহানন্দা নদীগর্ভে বিলীন হওয়া জমি ফিরে পেতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। ঘন্টাব্যাপি মানববন্ধনে ভোলাহাট মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সদ্য সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নূরুল হকের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মনিরুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মেসের আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আফসার হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা তৈমুর রহমান, বিআরডিবির সাবেক পরিদর্শক মো. গোলাম মোস্তফা, ভোলাহাট জামবাড়িয়া মহাবিদ্যালয়ের প্রভাষক মো. তরিকুল ইসলাম, দলদলি ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার আব্দুর রাজ্জাক, সোহেল রানা প্রমুখ। বক্তারা মহানন্দা নদী গর্ভে বিলিন হওয়া ও জেগে ওঠা চরাভূমি মানুষের কাগজ মূলে জমি সুষম বন্টনের দাবী জানান। মানববন্ধনে এলাকার প্রায় ২ শতাধিক ভূক্তভোগী ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। ভূক্তভোগীদের কাছ থেকে জানা গেছে, ভোলাহাট উপজেলার গোহালবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ ও দলদলী ইউনিয়ন পরিষদ মহানন্দা নদীর তীরে অবস্থিত হওয়ায় নিমগাছি এবং জয়গোবিন্দ মৌজার বসতভিটা, বাড়িঘর, ব্রিজ-কালভার্ট, মসজিদ-মন্দির, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন প্রাচীন স্থাপনাসমূহ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায় এবং নদীর কালক্রমে জেগে উঠা চরা ভূমি আবাদযোগ্য হলে ভারত সরকার এবং তার জনগণের দখলে চলে যায়। বিগত ১৯৯৬ সালে তৎকালীন শেখ হাসিনার সরকারের সময়কালে ভারত এবং বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর যৌথ জরিপ সম্পন্ন হলে চরা ভূমির মধ্যে প্রায় ছয়শত একর জমি দখল নেন বাংলাদেশ সরকার। কিন্তু বর্তমানে এলাকার প্রভাবশালী ও পেশী শক্তিধারী ব্যক্তিরা জোরপূর্বক সমস্ত জমি চাষাবাদ করে ফসলাদি ঘরে তুলে আসছে। আর বঞ্চিত হচ্ছেন আসল জমির মালিকরা। সেই সাথে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। সোমবার দুপুরে ভোলাহাট উপজেলা চত্বরে এক মানববন্ধনের আয়োজন করে ভোলাহাট উপজেলার মহানন্দা নদী গর্ভে বিলিন হওয়া ভূক্তভোগী জনসাধারণ।