২ নভেম্বর শিবগঞ্জ উপজেলার দূলর্ভপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। ত্রিমুখী লড়াই হবে বলে এলাকার ভোটারদের অভিমত। মাঠে রয়েছেন, আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এবং জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী। নিজ ঘরের দু’প্রার্থীর কারণে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভুগছেন আওয়ামীলীগের কর্মী-সমর্থকরা। এ নিয়ে আওয়ামীলীগ দুশ্চিন্তায় থাকলেও স্বস্তিতে রয়েছে জামায়াত। এ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের যেমন অবস্থান রয়েছে, তেমনি রয়েছে জামায়াতের।
প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান আবু আহমেদ নজমুল কবির মুক্তা (নৌকা), উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সদস্য বিদ্রোহী প্রার্থী (স্বতন্ত্র) বীর মুক্তিযোদ্ধা বজলার রশিদ সনু (মোটরসাইকেল) ও শিবগঞ্জ পৌর জামায়াতের আমির গোলাম আজম (আনারস)। প্রতীক বরাদ্দের পর ৩ প্রার্থীই ভোট ও দোয়া নিতে ভোটারদের ঘুরে দিয়েছেন উন্নয়নের নানা প্রতিশ্রুতি। বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারার সঙ্গে দুলর্ভপুরের উন্নয়নে সুযোগ চাচ্ছেন আওয়ামীলীগ প্রার্থী। এদিকে, আওয়ামীলীগ থেকে দু’জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় আওয়ামীলীগের কর্মী-সমর্থকরা দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন।
দলের সিদ্ধান্ত থেকে বেরিয়ে এসে নির্বাচনে অংশ নেয়ার অভিযোগে আওয়ামীলীগের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পদ থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা বজলার রশিদ সনু। অপরদিকে, দুর্নীতিমুক্ত পরিচ্ছন্ন ইউনিয়ন গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী। রিটার্নিং কর্মকর্তা ও শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তাসিনুর রহমান জানান, নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৩জন। এ নির্বাচনে ৯টি ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে ৪৮ জন ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ১৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ভোটার সংখ্যা ৩৯ হাজার ৯৮৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২০ হাজার ৮০১ জন ও নারী ভোটার ১৯ হাজার ১৮৩ জন। নির্বাচনে ১৭ জন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, ১৫০ জন সহকারী প্রিজাইডিং ও ৩০০ জন পোলিং এজেন্ট নিয়োজিত থাকবেন। মোট ভোট কেন্দ্র ১৭টি ও ভোট কক্ষের সংখ্যা ১৫০টি। ইভিএমের মাধ্যমে এ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বিঘ্নে ভোটাররা যেন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন, সেজন্য প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। অপরদিকে উপজেলা নির্বার্হী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আবুল হায়াত জানান, নির্বিঘ্নে ভোটাররা যেন ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন, সেজন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। আনসার, পুলিশ, বিজিবি ও র্যাবের পাশাপাশি ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে বিভিন্ন কেন্দ্রে স্ট্রাইকিং ফোর্স রাখা হয়েছে। উল্লেখ্য, সীমানা জটিলতা সংক্রান্ত কারনে বর্তমান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজিব রাজু উচ্চ আদালতে রীট করায় উচ্চ আদালতের নির্দেশে ২ দফা নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর নির্বাচন স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন।