রাজশাহীতে সুবেদার মেজর শওকত আলী ও পুলিশের অ্যাডিশনাল এসপি মো. খলিলুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী স্মরণে রাজশাহীতে সমাবেশ হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে নগরীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্ট রাজশাহী প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সমাবেশ হয়। রাজশাহী প্রেসক্লাব ও জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদ যৌথভাবে এ সমাবেশ আয়োজন করে। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী প্রেসক্লাব ও জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদ সভাপতি সাইদুর রহমান। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট মো. আসলাম-উদ-দৌলা। প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন রাজশাহী প্রেসক্লাবের আজীবন সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রশান্ত কুমার সাহা। এসময় বক্তব্য রাখেন শহীদ খলিলুর রহমানের ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রকৌশলী লুৎফর রহমান, জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদের সিনিয়র সহ সভাপতি আনোয়ার ইকবাল বাদল, সহ সভাপতি সালাউদ্দিন মিন্টু প্রমুখ। অনুষ্ঠানে উপ¯ি’ত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের তথ্য সংগ্রাহক ওয়ালিউর রহমান বাবু, মেক ওভার ফ্যাশনের স্বত্তাধিকারী অভিলাষ দাস তমাল দাস, জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদের সদস্য মাজেদুর রহমান, রায়হানুল ফেরদৌস রাসেল, রাতুল সরকার, রাশেদুল হক শাওনসহ আরো অনেকে। সমাবেশে বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালের ২৯ এপ্রিল ঢাকার পিলখানায় দায়িত্বরত ইপিআই সিনিয়র ওয়্যারলেস অফিসার রাজশাহীর কৃতি সন্তান সুবেদার মেজর শওকত আলী এবং রাজশাহী নগরীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্ট সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ-সিআইবি (বর্তমানে এনএসআই) অফিসে অ্যাসিস্টেন্ট ডাইরেক্টর পদে দায়িত্বরত পুলিশের অ্যাডিশনাল এসপি মো. খলিলুর রহমানকে গুলি করে হত্যা করে পাকা হানাদার বাহিনী। ২৫ মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা ট্রান্সমিট করা অব¯’ায় সুবেদার মেজর শওকত আলীকে ধরে নিয়ে গিয়ে রাজধানীর মোহাম্মদপুর ফিজিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারে (টর্চার সেল) পাকিস্তানি বাহিনী নির্মম নির্যাতন চালায়। রাত ১টা নাগাদ তিঁনিই ট্রান্সমিট করে গেছেন বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা। ১ মাস নির্যাতনের পর ১৯৭১ সালের ২৯ এপ্রিল তিঁনিসহ মোট ২৬ জন স্বাধীনতাকামী মানুষকে একসঙ্গে হত্যা করা হয়। তারা বলেন, এরপর তাদের মরদেহ নদীর ধারে ফেলে রেখে যায় পাক বাহিনী। শহীদদের সম্মান রক্ষায় সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে। তরুণ প্রজন্মের মাঝে আরো বেশি তুলে ধরতে হবে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস।